সেই ছাত্রলীগ নেতা সাইফুরের কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার মধ্যরাতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় তার কক্ষ থেকে ১ টি পাইপগান, ৪ টি রামদা, ১ টি চাকুসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘যাদের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে।’

আরও পড়ুন- ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ছাত্রলীগ নেতাদের

এদিকে, ভিকটিম দম্পতির বর্ণনামতে সাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে রাত সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছেন শাহপরান থানার উপর পরিদর্শক (এসআই) লিপটন পুরকায়স্থ।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুনী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান।

এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী গাড়ির ভেতরে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এসময় তাদের সঙ্গে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি প্রাইভেট কারও ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রাইভেট কারটি তাদের জিম্মায় নেয় এবং তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে প্রেরণ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন,’শুক্রবার রাতে এমসি কলেজের হোস্টেলের একটি ব্লকের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি তবে আমাদের তদন্ত চলছে।’ এঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানান তিনি।