• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র ও গুলি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৬

ইকবাল হোসেন

গাজীপুর : ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন ৩ পুলিশ । ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিদেশে লোক পাঠানো (আদম ব্যবসা) ও টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে কুমিল্লার হোমনা থানার মঙ্গলকান্দি গ্রামের শাহ আলমের সন্তান আবুল হাসান রনি(৪৫) কে কৌশলে বাড়িতে এনে ২ দিন যাবৎ আটকে রাখে রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ঈসমাইল। পরে রনির কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষর রেখে তাকে আটক করে পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়ে ৫ লাখ টাকা আনতে বলেন।

পরে রনি খবর দিলে ফয়সাল, আবুল কালাম, অমর বেপারী ঈসমাইলের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংসা করার জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টায় ১ লাখ ৫ হাজার নিয়ে গেলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকেও আটকে রাখে। পরে কৌশলে একজন পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক এস আই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল খোরশেদ আলম ও মিজানুর রহমান ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃতদের উদ্ধার করে, পরে ইসমাইল তার বাবা, ভাই সহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা পুলিশকে খবর দেওয়ায় আটককৃতদের মারধর করে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, পুলিশকেও মারধর শুরু করেন।

 আরও পড়ুন-  গৃহবধূকে গণধর্ষণ : ছাত্রলীগের ৬ জনকে খুঁজছে পুলিশ

এসময় এস আই  রফিকুল ইসলাম তাদেরকে বলেন আমাদেরকে মারেন তারপরও তাদেরকে ছেড়ে দেন, কেউ কারও কোন কথায় কর্নপাত না করে এলোপাতাড়ি ভাবে পুলিশ ও আটককৃতদেরকে মারধর করতে থাকেন। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গুরুতর আহত হন।পুলিশের সাথে থাকা পিস্তলের ১০ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিন, ২ টি মোবাইল ফোন ও শর্টগানসহ ৪ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়। পরে এস আই রফিকুল ইসলাম সরকারি ওয়ালেসের মাধ্যমে খবর দিলে অফিসার ইনচার্জ, পরিদর্শক তদন্ত, পরিদর্শক অপারেশন, ও এস আই অংকুর ফোর্স সহ হাজির হয়ে পুলিশ ও আটককৃতদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত শেরপুর সদরের হাসানের স্ত্রী ১. রোশনী (৪০), ২.নোয়াগাও গ্রামের রকির স্ত্রী মনিশা মনি (২৫) ৩. দিঘলপাড়া গ্রামের আফসার উদ্দিনের সন্তান ফরহাদ (১৮) ৪. নড়াইলের লোহাগড়া থানার লাহুরা গ্রামের জাফর মোল্লার সন্তান, বর্তমানে ধরনীরচালা এলাকার ভাড়াটিয়া তাজুল ইসলাম (২৪) ৫.ভোলার চরফ্যাশন হাজারীগন্জের সোলায়মানের সন্তান বর্তমানে রাজেন্দ্রপুর এলাকার ভাড়াটিয়া আবদুর রহমান (২২), নোয়াগাও গ্রামের মফিজ উদ্দিনের সন্তান ৬.আজাহার (৫৫) কে আটক করে। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেন।

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন ক্রাইম প্রতিদিনকে জানান, এঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজন জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে। আটককৃত ৬ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।