সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় : প্রধানমন্ত্রী

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বৈদেশিক নীতি হল- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সবসময় মনে করি, এই অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভালো সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।

রোববার সকালে গণভবনে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকালে রীভা গাঙ্গুলি বলেন, মরণঘাতী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। আর মহামারীর বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রশংসনীয়। মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন তিনি।

হাইকমিশনার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। যেখানে তিনি (নরেন্দ্র মোদি) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভারতের হাইকমিশনারও এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

আরও পড়ুন: দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ

শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রীভা গাঙ্গুলিকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভারতের জনগণ এবং দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অভূতপূর্ব সমর্থন জানিয়েছিল এবং একইভাবে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থলসীমা চুক্তিকেও সমর্থন জানিয়েছে। মঙ্গলবার (আগামীকাল) ভারত এবং বাংলাদেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন বলেও হাইকমিশনার শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে উপস্থিত ছিলেন।