• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১২ অক্টোবর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

রিটার্ন টিকিটের টাকা উধাও, প্রবাসীদের মাথায় হাত

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

সৌদি প্রবাসীদের একটি বড় অংশ রিটার্ন টিকিট কেটে দেশে এসেছেন। কিন্তু তাদের অনেকেই প্রতিদিন এক নতুন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে গেলে কর্মকর্তারা বলছেন, ‘রিটার্ন টিকিটের জন্য বুকিং দেওয়া টাকা কে বা কারা তুলে ফেলেছে।’

ভুক্তভোগীরা যখন এ ব্যাপারে এজেন্সির সঙ্গে কথা বলছেন, তখন সেখান থেকে বলা হচ্ছে তারা টাকা তুলে ফেলার বিষয়ে কিছু জানে না। প্রতিদিনই সৌদি এয়ারলাইন্সে এ ধরনের ঘটনা অনেক ঘটছে। নিরুপায় হয়ে প্রবাসীরা ধার-দেনা করে, জমি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সোমবার কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে চার শতাধিক প্রবাসী টিকিটের জন্য জড়ো হয়েছেন। তারা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। ভিসার মেয়াদ যাদের কম তাদের টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে। এ সময় ৭-৮ জন জানান, তাদেরকে বলা হয়েছে, তাদের রিটার্ন টিকিটের টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

আবদুল মান্নান নামে একজন অভিযোগ করেন, সৌদি এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে আমার রিটার্ন টিকিটের জন্য জমা দেয়া টাকা তুলে ফেলা হয়েছে। আমি যাদের মাধ্যমে টিকিট বুকিং দিয়েছি, তাদের সঙ্গে যেন যোগাযোগ করি। আর এখন নতুন করে টিকিট ইস্যু করতে হলে ৯৬ হাজার টাকা দিতে হবে। এজেন্সির সঙ্গে কথা বললে ওরা জানিয়েছে কিছু জানে না। এখন বাধ্য হয়ে আমাকে ধার-দেনার পথে যেতে হচ্ছে। ভিসার মেয়াদ আছে আর মাত্র ১৮ দিন। টাকা জোগাড় করতে না পারলে জমি বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

একই সমস্যা সুমন আহমেদের। তাকেও বলা হয়েছে, রিটার্ন টিকিটের জন্য বুকিং দেয়া টাকা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এটা কোন ধরনের জালিয়াতি, বুঝতে পারছি না। কী করব-সেটাও ভেবে পাচ্ছি না। মাথা কাজ করছে না। শুধু এটাই বুঝতে পারছি যে, প্রায় লাখ টাকা খুব কম সময়ের মধ্যে জোগাড় করতে হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, রিটার্ন টিকিটের জমা দেয়া টাকা কীভাবে উঠিয়ে নেয়া হল? আর ওই টাকাটা যাচ্ছে কোথায়?

এ বিষয়ে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, আমরা এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাচ্ছি। অনেক এজেন্সি বাড়তি টাকার বিনিময়ে টিকিট ইস্যু করে দেবে-এমন প্রস্তাব দিচ্ছে প্রবাসীদের। আর বুকিং দেয়া টিকিটের টাকা উঠিয়ে নেয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক।

প্রবাসীদের যদি ভিসা-আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যেত বা তিনি ফেরত যেতে না চাইতেন, তাহলে বুকিং দেয়া টিকিটের টাকা উঠিয়ে নেয়ার বিষয় ছিল। তাও প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে। এজেন্সিগুলো যদি এটা করে থাকে, তাহলে এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন।