কুষ্টিয়া নারী-শিশু নির্যাতন রোধে বিট পুলিশিং সমাবেশ

“নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে,আপনার পুলিশ আপনার পাশে” এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে সারা দেশের ন্যায় কুষ্টিয়া জেলা  পুলিশের আয়োজনে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী ৪নং বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মিলপাড়া শেখ আব্দুর রশীদ কমিউনিটি সেন্টারে মডেল থানা ওসি কামরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে মিলপাড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই সাহেব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(আপরাধ ও প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান। 

এ সময় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মজনু, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শেখ আব্দুর রশীদ কমিউনিটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে করিম খোকা, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা লাভলু, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিস কোরাইশী,সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রীনা নাসরিন প্রমুখ। 

সমাবেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, 'নারী নির্যাতন ও নিপীড়নকারীদের কোনও জায়গা এই দেশে নেই। নির্যাতনকারীদরে বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সমাজের সর্বস্থরের মানুষের এগিয়ে আসার আহবান করেন। সমাজের সকল মানুষের দৌড় গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে এই বিট পুলিশিং কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। মানুষের সময়,শ্রম,অর্থ ব্যয় করে থানায় এসে সেবা নিতে হয়। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আইজিপি মহোদয় এই বিট পুলিশিং সেবা কার্যক্রম চালু করেন। বিট পুলিশিং থেকে সহজেই সাধারণ মানুষ সেবা পাবেন। এছাড়া এলাকার মাদক, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা কমাতে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম অন্যতম সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় কোন মাদক ও সন্ত্রাস থাকতে পারবেনা। অত্র এলাকায় কোন মাদক,সন্ত্রাসী ও বাল্য বিবাহ দেখলে দ্রুত তথ্য দিয়ে পুলিশের সহযোগীতা করবেন এবং আমাদের হটলাইন নাম্বারে কল করে জানাবেন। সরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ যতো বড় অপরাধী হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবেনা। পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে পুলিশের বিট কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পুলিশি সেবা দিয়ে যাবে। বিট পুলিশিং কার্যক্রম সফল করার জন্য সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পক্ষ হতে আহবান জানান। 

এছাড়াও জেলায় মোট ৬৪টি ইউনিয়নে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী ৮৫টি বিট পুলিশিং সমাবেশের আয়োজন করা হয়।