• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২১ অক্টোবর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে এলাকাছাড়া পরিবার

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

 নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রভাবশালী সুদ ব্যবসায়ী দুই সহোদরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টায় আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে এক আদিবাসী পরিবার এখন বাড়িছাড়া। জামিনে বেরিয়ে আসার পর থেকে ওই পরিবারকে হুমকি-ধমকি অব্যহৃত রাখার অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রাম থেকে জীবনের ভয়ে ওই পরিবারের তিন সদস্য এখন নওগাঁ শহরে এসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের আদিবাসী বিধবা নারী একাই বাড়িতে থাকেন। তার দুই ছেলে ঢাকায় থাকেন। তার বাড়ির রাস্তার পশ্চিম পাশে পবাতৈড় গ্রামের মৃত মোসলেমের ছেলে আজাদুল ইসলাম ওরফে জারদেশ (৩৫) বিভিন্নভাবে ওই বিধবাকে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে একাধিকবার আজাদুলকে নিষেধ করা হয়। গত ৩ জুন রাত ১০টার দিকে বিধবা প্রকৃতির ডাকে বাড়ির বাইরে গেলে গোপনে আজাদুল ঘরে প্রবেশ করে এবং বিধবাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আজাদুলকে আটক করেন। বিষয়টি তার ভাই একরামুল (৪০) হক জানার পর লোকজন নিয়ে এসে আজাদুলকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরে ৩০ জুলাই বিধবা বাদী হয়ে নওগাঁ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুই ভাইকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর গত ১৬ আগস্ট আসামি দুইজনকে আটক করে পরদিন আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আসামিরা জামিনে বেরিয়ে আসার পর থেকে ওই বিধবার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। 

বিধবার ছেলে নিপেন অভিযোগ করে বলেন, আজাদুল ইসলাম মাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। এছাড়া গত ৫ বছর আগে সাদা স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে আমরা ২০ হাজার টাকা একরামুলের কাছ থেকে সুদের ওপর নিয়েছিলাম। ৫ বছর পর সুদে-আসলে ৭০ হাজার টাকা তাকে ফেরত দিয়েছি। কিন্তু তারপরও স্ট্যাম্পটি ফেরত দিচ্ছে না। তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। আমরা এর সুবিচার দাবি করছি।

অভিযুক্ত একরামুল হক বলেন, ওই পরিবারের কাছে ৭০ হাজার টাকা পেতাম। তারা টাকা না দিতে বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করছে। টাকা যেহেতু তারা দেয়নি এজন্য আমি স্ট্যাম্পও ফেরত দেব না। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। ওই পরিবারকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার হোসেন বলেন, শ্লীলতাহানির ঘটনাটি নিয়ে আমরা স্থানীয়ভাবে আপসের চেষ্টা করেছিলাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা আইনের আশ্রয় নেয়ায় ভালো হয়েছে। তবে হুমকি-ধমকি দেয়ার বিষয়টি জানা নেই।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।