• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২২ অক্টোবর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে আটকা ৫ শতাধিক পর্যটক

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে দেশের সমুদ্র উপকূলকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় কক্সবাজারের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের যোগাযোগ আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে গতকাল বুধবার ও তার আগের দিন সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া ৫ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাঁদের অনেকেরই আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বলবৎ থাকায় আজ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী।

এদিকে, টেকনাফ বন্দর থেকে এখনো পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। তবে কক্সবাজার শহরের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি কর্ণফুলী এখন প্রতিদিন সেন্টমার্টিন দ্বীপে আসা-যাওয়া করছিল। এই জাহাজে সর্বোচ্চ ৬০০ যাত্রীর ধারণক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফ থেকেও প্রতিদিন পর্যটকবাহী কিছু ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক আসা-যাওয়া করে। তবে গতকাল সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়ায় আজ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ কিংবা ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজারে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়া বইছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব খান জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অফিস থেকে সমুদ্র উপকূলকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাঁরা বেড়াতে এসেছেন, তাঁদের জাহাজে করে কক্সবাজারে চলে যাওয়ার কথা বলে মাইকিং করা হয়। কিন্তু অনেকেই সংকেত উপেক্ষা করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে থেকে যান।

হাবিব খান আরো জানান, বর্তমানে দ্বীপে পাঁচ শতাধিক পর্যটক বিভিন্ন রিসোর্টে রয়েছেন। তাঁরা নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সাগরের পরিস্থিতি ভালো হলে তাঁরা নিরাপদে কক্সবাজারে ফিরে যেতে পারবেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, হুঁশিয়ারি সংকেত উপেক্ষা করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেসব পর্যটক রয়ে গেছেন, তাঁরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে ব্যাপারে সেন্টমার্টিন পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আটকেপড়া পর্যটকদের সাশ্রয়ী মূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’