সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় ১ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাসান আলী সরদার (২৫) কে কারাগারে না পাঠিয়ে বাড়িতে প্রবেশনে পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে আদালত। তবে এই সময় তাকে ৫টি শর্ত পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার যুগান্তকারী এই আদেশ দিয়েছেন।
প্রবেশনে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাসান আলী সরদার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের মো. রজব আলী সরদারের ছেলে।
এই মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. এ টি এম ফখরুল আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষের এড. শামছুল বারী।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এড. এ টি এম ফখরুল আলম জানান, মঙ্গলবার জি আর ৪৩/১৫ (টিআর ২৯/১৬) নম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার রায়ে ( ৩ কেজি গাজা রাখার অপরাধ প্রমাণিত হয়) আসামী হাসান আলী সরদারের ১ বছরের প্রবেশন দেয়া হয়েছে। তবে আসামীকে পাঁচটি শর্ত মানতে হবে।
শর্তগুলো হলো-
১) কোনরুপ মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করবে না।
২) কোন খারাপ সঙ্গীর সাথে মিশবে না।
৩) প্রবেশনকালীন সময়ে ১০টি গাছ রোপন করতে হবে।
৪) পিতা-মাতার সেবা করতে হবে।
৫) সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে ( প্রচারণার সময় কি কি উল্লেখ করতে হবে তাও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে)।
শর্তগুলো ভঙ্গ করলে তাকে আবারও কারাগারে যেতে হবে বলে আদেশ দেন আদালত। অন্যদিকে প্রবেশনাল শর্ত সঠিকভাবে পালন করলে তার ১ বছরের সাজা বাতিল হয়ে যাবে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন, সম্প্রতি সাতক্ষীরা আদালতের এটি একটি উল্লেখযোগ্য আদেশ।
সাজাপ্রাপ্ত আসামী শর্তগুলো মানছে কি-না তা তদারকি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাতক্ষীরা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশনাল অফিসারকে। তিন মাস পর পর সমাজসেবা প্রবেশনাল অফিসারকে আদালতে এ বিয়য়ে রিপোর্ট জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে আলোচিত এই রায়ে।