• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২১ নভেম্বর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

যেভাবে কাযা নামাজ আদায় করবেন

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

ফরজ বা ওয়াজিব নামাজ সময় মতো পড়তে না পারলে, সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পড়া হলে তাকে কাযা নামাজ বলে। পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজ ছুটে গেলে কাযা করা ফরজ। এশার নামাজের সময় বিতিরসহ যে কোনো ওয়াজিব নামাজের কাযা করা ওয়াজিব।

নফল নামাজ শুরু করার পর ওয়াজিব হয়ে যায়। কোন কারণে নফল নামাজ নষ্ট হলে অথবা শুরু করার পর কোন কারণে যদি ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে তার কাযা করাও ওয়াজিব। সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং নফলের কাযা নেই। তবে ফজরের নামাজ সুন্নত-ফরজ উভয়টা পড়তে না পারলে সুন্নত-ফরজ এক সঙ্গে কাযা করা উত্তম। দুপুরের চার রাকাত সুন্নত পড়তে না পারলে ফরজের পরও পড়ে নেওয়া যায়। ফরজের পর যে দুই রাকাত সুন্নাত আছে তার আগেও পড়া যায় এবং পরেও পড়া যায়। তবে দুপুরের ওয়াক্ত চলে গেলে কাযা ওয়াজিব হবে না।

জুমআ নামাজের কাযা নেই : জুমা নামাজের কাযা নেই। জুমা পড়তে না পারলে চার রাকাত জোহার কাযা পড়তে হবে।

কাযা নামাজের সময় : কাযা নামাজ পড়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যখনই স্মরণ হবে এবং সুযোগ হবে পড়ে নিতে হবে। তবে নিষিদ্ধ সময়গুলোতে বিরত থাকতে হবে।

বেশি কাযা হলে : কারো যদি কয়েক মাস এবং বছর নামাজ কাযা হয়ে যায়, তাহলে তার উচিত কাযা নামাজ একটা অনুমান করে নিয়ে কাজা পড়া শুরু করা। এ অবস্থায় কাযা নামাজ পড়ার নিয়ম এই যে, সে যে ওয়াক্তের কাযা পড়তে চাইবে সে ওয়াক্তের নাম নিয়ে বলবে যে, অমুক ওয়াক্তের সবচেয়ে প্রথম বা শেষ নামাজ পড়ছি। যেমন কাজা হওয়া নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজের কাজা পড়তে চায়। তাহলে বলবে, ফজরের সবচেয়ে প্রথম অথবা শেষ নামাজ পড়ছি। এভাবে পড়তে থাকবে যাতে সকল কাজা নামাজ পুরা হয়ে যায়।

ভ্রমণের সময়ের কাযা : সফরে যে নামাজ কাযা হবে তা মুকিম হয়ে পড়তে গেলে কসর পড়বে। কসর মানে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত পড়বে। তেমনি মুকিম অবস্থায় কাযা হলে সফরে তা পুরা পড়তে হবে।

এভাবে বাকি নামায আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব, ইশাও এভাবে আদায় করবে।

একদিনে একাধিক চারদিন পাঁচদিনের, যত দিনের ইচ্ছে কাযা আদায় করা যাবে। কোন সমস্যা নেই।

وفى الدر المختار- كَثُرَتْ الْفَوَائِتُ نَوَى أَوَّلَ ظُهْرٍ عَلَيْهِ أَوْ آخِرَهُ،

وقال ابن عابدين الشامى – (قَوْلُهُ كَثُرَتْ الْفَوَائِتُ إلَخْ) مِثَالُهُ: لَوْ فَاتَهُ صَلَاةُ الْخَمِيسِ وَالْجُمُعَةِ وَالسَّبْتِ فَإِذَا قَضَاهَا لَا بُدَّ مِنْ التَّعْيِينِ لِأَنَّ فَجْرَ الْخَمِيسِ مَثَلًا غَيْرُ فَجْرِ الْجُمُعَةِ، فَإِنْ أَرَادَ تَسْهِيلَ الْأَمْرِ، يَقُولُ أَوَّلَ فَجْرٍ مَثَلًا، فَإِنَّهُ إذَا صَلَّاهُ يَصِيرُ مَا يَلِيهِ أَوَّلًا أَوْ يَقُولُ آخِرَ فَجْرٍ، فَإِنَّ مَا قَبْلَهُ يَصِيرُ آخِرًا، وَلَا يَضُرُّهُ عَكْسُ التَّرْتِيبِ لِسُقُوطِهِ بِكَثْرَةِ الْفَوَائِتِ. (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت-২/৫৩৮

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সময়মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে গিয়ে আদায় করার তাওফিক দান করেন, আমীন।