• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই বোনকে হত্যা করেন ভাই!

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালগর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে রফিজা খাতুন হত্যা মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হাতে তিন আসামি গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে নিহত রফিজা খাতুনের ভাই ও মামলার বাদী মুছা মিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়েছে। মুছার ভাই সোহাগসহ ওই তিন আসামি আদালতে জবানবন্দিও দিবেন বলে জানিয়েছে পিবিআই।

পিবিআই’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বামী পরিত্যক্তা বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মামলার বাদী মুছা মিয়া। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের ও পরবর্তী তদন্তে মুছার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মুছাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর রামপুর গ্রামের মৃত দরবেশ মিয়ার মেয়ে ও স্বামী পরিত্যক্তা রফিজা খাতুন খুন হন। এ ঘটনায় রফিজা খাতুনের আপন ভাই মুছা মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি নাসিরনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়। এরই মধ্যে রামপুর গ্রামের মৃত দরবেশ মিয়ার ছেলে ও রফিজার আরেক ভাই সোহাগ মিয়া (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. আক্কাছ মিয়া (৪৫) ও মৃত সাদত মিয়ার ছেলে পরশ মিয়া (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে। পিবিআই’র জিজ্ঞাসাবাদে মুছা ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে গ্রেপ্তারকৃতরা উল্লেখ করেন।

পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে  জানান, রামপুর গ্রামের দরবেশ মিয়ার ছেলে মুছা মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা আবু কালামের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। সর্বশেষ গ্রামের একটি খাস জমি দখল নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। 

ওই জমি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে আবু কালামের একজন সমর্থক নিহত হন। এ খবর জানার পর মুছা মিয়া প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিকল্পনা করে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে নিজ বাড়িতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন।