রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা, স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলা রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টায় এক স্কুলছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। গত শুক্রবার ভোরে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার নিশাতনগর এলাকা থেকে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গ্রেপ্তারের পর ওই স্কুলছাত্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। তার কাছ থেকে ডাকাতির কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

বগুড়ায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আসামি বগুড়ার একটি স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তথ্য প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ওই শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি স্কাউটিংও করে। তবে তার বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় আইন অনুযায়ী আমরা তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে পারছি না।’

গত ৫ জানুয়ারি ভোরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সাবেক পাড়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা চালানো হয়। তবে নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্তব্যরত দুই আনসার সদস্যসের বাধার কারণে ব্যাংকের কোনো টাকা পয়সা খোয়া যায়নি। অবশ্য দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাত এবং নিক্ষেপ করা রাসায়নিক পদার্থে আনসার সদস্য মাসুদ রানা ও হাবিবুর রহমান আহত হন। পরে আহত এক আনসার সদস্য ওই দুর্বৃত্তকেও ছুরিকাঘাত করেন।

বগুড়ায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টার পর থেকেই তারা জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখেন। পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ঘটনায় জড়িত স্কুলছাত্রকে গাজীপুরের টঙ্গীর নিশাতনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার ভোরে গ্রেপ্তারের পর তাকে ওইদিন বিকেলে বগুড়ার গাবতলীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। সেখানেই সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ওই স্কুলছাত্র তথ্যপ্রযুক্তিতে খুবই দক্ষ। সে একাই ডাকাতির চেষ্টা করেছে। ব্যাংকে হানা দেওয়ার সময় সে অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিল।’ আর নৈশপ্রহরীকে ছুঁড়ে মারা রাসায়নিক দ্রব্যও সে নিজে তৈরি করেছে বলে দাবি করেন তিনি।