• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২৮ মার্চ, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

চরমপন্থী থেকে মাদক সম্রাট দাউদ

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

দাউদ হোসেন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। একসময় ছিলেন চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য। সেই দাউদ এখন বড় মাপের মাদক ব্যবসায়ী। নিজ এলাকায় তার পরিচিতি মাদক সম্রাট হিসেবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দর্শনা সীমান্ত থেকে চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, হালসা পোড়াদহ ব্রিজ- এই রুট ব্যবহার করে নিজ বাড়িতে গাঁজা-ইয়াবাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মাদক নিয়ে আসেন দাউদ হোসেন। এরপর সেসব মাদক সরবরাহ করেন কুষ্টিয়া শহর ও আশপাশের এলাকায়।

মাদক ব্যবসায় তাকে সহযোগিতা করে ছেলে রাসেল। ক্রেতাদের কাছে মাদক পৌঁছে দিতে রাসেলকে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছেন দাউদ। এছাড়া নিজ বাড়িতেও বসিয়েছেন মাদকের আখড়া। সেখানে দিনরাত চলে মাদক সেবন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাউদ হোসেন একসময় কুষ্টিয়ার চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ওই দলের সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। প্রায় ১০ বছর আগে অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছিলেন দাউদ। জেল থেকে বের হওয়ার পর তার কোমরের হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করতে গিয়ে একটি রগ কেটে যায়। সেই থেকে তিনি একটু কুঁজো হয়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটেন। কুঁজো হওয়ার সুবিধা নিয়ে চাচাতো ভাই ইউপি মেম্বার সায়েম উদ্দিনের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করিয়ে নিয়েছেন দাউদ। এখন প্রতি বছর ভাতা ভোগ করছেন, পাশাপাশি দাপটের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা।

বালিয়াপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের স্কুলের একটি মাঠ ছিল। সেখানে গ্রামের ছেলেরা খেলাধুলা করত। মাঠটি হাট মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা মাদকের জগতে ঢুকে পড়ছে। সেই সুযোগে দাউদ হোসেন নিজের মাদক ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছে। তাকে বারবার বাধা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে দাউদ তাকে প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়। এছাড়া বাড়িতে মাদক রেখে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করেন মাদক সম্রাট দাউদ হোসেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ দেখালে তিনি স্বীকার করে বলেন, আমি ভুল করেছি, আর এ ব্যবসা করব না।

সদর উপজেলার দহকুলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আসিক বলেন, আমি দ্রুত তাকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করব।