• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২২ এপ্রিল, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

প্রধানমন্ত্রী সুস্থ আছেন বলেই কৌতুক-মশকরা করছেন

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

গণস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুস্থ আছেন বলেই আজ কৌতুক করছেন, মশকরা করছেন। সব ধরনের গবেষণা বলেছে, বাংলাদেশ দরিদ্র পরিবার সোয়া ২ কোটি অতিক্রম করেছে।

এই সোয়া দুই কোটি পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এর মানে হচ্ছে প্রতি পরিবারে সোয়া ৪ টাকা করে পাবে!’

তিনি আরও বলেন, ‘সোয়া ৪ টাকা দিয়ে রমজান মাসে কী খেতে পারেন? এই জাতীয় মশকরা করছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আজ উনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে এই মশকরার দিন ফুরিয়ে আসছে।’ আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘লকডাউনে মানুষের হাহাকার বন্ধে- ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছাও নাগরিক প্রতিকী অবস্থান’ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি সরকারকে দেশের আড়াই কোটি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য সরবাহ করতে আহ্বান করেছেন।

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আপনি সাড়ে ১০ কোটি টাকা দান করে ভিক্ষা দিচ্ছেন কাকে? যার টাকা তাকেই। আপনার ঘোষণা অনুযায়ী আপনার (সরকার) তহবিলে আছে ৪৩ বিলিয়ন ডলার। কোনো চিন্তাভাবনা না করে আড়াই কোটি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার খাদ্য সহায়তা দেন।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আরেকটা কথা আমি বলতে চাই; আমাদের যত রাজনীতিবিদ আছেন, সে বিএনপি হোক, কমিউনিস্ট পার্টি হোক, বাসদ হোক; সবাই মিলে চেষ্টা করলে বাংলাদেশ এক লাখ ধনী পরিবার, ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাত দিন চেষ্টা করলে ১০ কোটি টাকা উঠাতে পারি না?

যারা মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা নিয়ে, বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মশকরার বিপরীতে আপনারা যদি সাহায্যে না নামেন তাহলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের খামখেয়ালীপনার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ডাকাতের সরকার কখনো জনগণের কথা ভাবে না। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনগণ জিতবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

কর্মসূচিতে বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের ড. রেজা কিবরিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইশতিয়াক আজিজ উলফত ও সাদেক খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রেহনোমা আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান , নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবি আমাতুল্লাহ সহ, রাস্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূইয়া প্রমুখ।