ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ১০ জনসহ ৩৪৬ হেফাজত কর্মী গ্রেপ্তার

গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভ চলাকালে হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নতুন করে আরও ১০ হেফাজতকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পুলিশের দাবি- গ্রেপ্তাররা হেফাজতের কর্মী ও সমর্থক। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৪৬ জন।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ঘটনার স্থির ও ভিডিও চিত্র দেখে এই ১০ জনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি,আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি। এসব মামলায়  ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৩৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে মোট ৩৪৬ জন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে হেফাজতের ব্যানারে মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ব্যাপক ভাাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়াও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রসনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে হেফাজত নেতারা ভাংচুরের অভিযোগ নাকচ করে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।