• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

দোকানপাট খোলা রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে, বাড়লো লকডাউন

বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যাবলী বা চলাচলে বিধিনিষেধের সময়সীমা পাঁচই মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

২৮শে এপ্রিল মধ্যরাত থেকে পাঁচই মে মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

পাঁচই এপ্রিল থেকে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।

তবে প্রথমদিকে কড়াকড়ি থাকলেও এখন অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে বিধিনিষেধ চলছে। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় গণপরিবহন ছাড়া সব ধরণের যানবাহন চলছে। জরুরি সেবার বাইরেও ব্যাংক, কারখানা, বেসরকারি অনেক অফিস আগে থেকেই খোলা ছিল, ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমলও খুলে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সরকারের প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের স্থগিতাদেশ পাঁচই মে পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।

পাঁচই এপ্রিল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল স্থগিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল চালু হলেও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:
১. পণ্য পরিবহন ব্যতীত স্থল, নৌ ও বিমানযোগে কেউ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে করতে পারবেন না। তবে ভারতে থাকা যে বাংলাদেশিদের ভিসা উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনুমতি/অনাপত্তি নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

২. দোকানপাট/শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে।

৩. ঈদ-উল-ফিতর নামাজের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।


৪. মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আগম যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদসহ নন-কোভিড-১৯ সনদ যাদের রয়েছে, তাদের নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের আসার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে।

৫. এসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের যাদের নন-কোভিড-১৯ সনদ নেই, তাদের নিজের খরচে সরকার নির্ধারিত ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চিকিৎসকগণ তাদের পরীক্ষা করে সম্মতি প্রদান করলে তারা বাড়িতে গিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

৬. অন্যান্য দেশ থেকে আগত যাত্রীরা নিজেদের খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

বাংলাদেশে গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ।

এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে স্বর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।

এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশ'র ঘরে নেমে এসেছিল।

কিন্তু এই বছরের মার্চ মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়তে শুরু করে। টানা কয়েকদিন প্রতিদিন একশ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্যও পাওয়া গেছে।

ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এপ্রিল মাসের পাঁচ তারিখ থেকে সরকার চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা পরে আরো তিনবার বাড়ানো হয়।