• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১ মে, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

বিপণিবিতানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

করোনার মধ্যেই ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলো। বিশেষ করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদের কেনাকাটা তাই ছোট ছোট বাচ্চাসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনেও এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে ছুটেছেন অনেকে। আর মহান মে দিবসে শপিংমল দুপুর ১২টার দিকে খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও তা না জানায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেক ক্রেতাকে।

ঈদের কেনাকাটা করতে আজ শনিবার সকাল ১০টায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে আসতে থাকেন ক্রেতারা। বেলা ১১টার মধ্যে কয়েক হাজার ক্রেতা জড়ো হয়ে যায় শপিংমলের সামনে। এসে জানতে পারেন আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস উপলক্ষে শপিংমল দুপুর ১২টায় খোলা হবে। এমন সিদ্ধান্ত আগে থেকে না জানায় বেশ ভোগান্তিতে পড়েন ক্রেতারা। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানাও সম্ভব হয়নি তাদের।

এই শপিংমলে কেনাকাটা করতে আসা একজন নারী (৫০) বলেন, ‘আমরা জানি সকাল ১০টায় মার্কেট খোলা। আজকে যে দুপুর ১২টা থেকে খোলা এটা জানা নাই।’

সেখানে আসা আরও একজন (৫৫) বলেন, ‘মেজাজ খারাপ। এরা খুলবে তাহলে ১০টা থেকে খুলল না কেন? ১০টা থেকে খুললে তো এত মানুষ দাঁড়িয়ে আছি, এত ভোগান্তি হতো না।’

‘এই গরমে আমরা রোজা থেকে অপেক্ষা করতেছি। এটা আগে থেকে ইনফরমেশন ছিল না’, বলেন আরও একজন। 

অপেক্ষার পর যখনই শপিংমলের ফটক খোলার প্রস্তুতি নেয় কর্তৃপক্ষ তখনই লাইনে দাঁড়াতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই।

তবে রাজধানীর নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের দোকানপাট সকাল ১০টা থেকেই খোলা ছিল। সেখানে ক্রেতাসমাগমও ছিল কিছুটা বেশি।

এখানে একজন ক্রেতা বলেন, ‘গত বছর শপিং করতে পারিনি তাই এ বছর বাচ্চাদের জন্য করতে আসছি।’

ফুটপাতের বিক্রেতারা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিক্রি বাড়ায় কিছুটা হাসি ফুটেছে তাদের মধ্যে। তবে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না মার্কেটের ভেতরের দোকানিরা। বলছেন, করোনার কারণে ক্রেতারা ভেতরে খুব কম যাচ্ছেন।

নিউমার্কেটের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘তাও তো বেচতাছি, কপাল ভালো। চলতাছি, সবাই চলে। বেচাকেনা মোটামুটি ভালো।’

করোনা পরিস্থিতি, রোজা এবং প্রচণ্ড রোদ-গরমের মধ্যেও ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অনেকে এসেছেন মার্কেটে। এমনকি দেড় মাস বয়সী বাচ্চাটিকেও সঙ্গে এনেছেন।

এরকম ছোট বাচ্চা নিয়ে কেন মার্কেটে এসেছেন? জবাবে একজন বাবা তাঁর কান্নারত ছোট বাচ্চাকে থামাতে থামাতে বলেন, ‘ছোট বাচ্চা আসবে। তার মা নিয়ে আসছে।’

পাশে আরও একজন তাঁর ছোট ছোট বাচ্চাদের চাহিদা পূরণের জন্য মার্কেটে এসেছেন বলে জানান।

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শপিংয়ে আসা-যাওয়া কিছুটা কষ্ট হলেও  শপিং শেষে যখন বাসায় যাচ্ছিলেন তখন তাদের মধ্যে ছিল স্বস্তির নিশ্বাস।

এরকম একজন ক্রেতা কেটাকাটা শেষে বাসায় যাওয়ার আগে বলেন, ‘আজকে আসছি ফার্স্ট আর আজকেই লাস্ট।’ আবার আসবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না না করোনার মধ্যে তো বাচ্চাদের নিয়ে তো আসা যায় না। বাচ্চারা বায়না করছে তাই তাদের সব কাপড় কেনা।’

ঈদ কেনাকাটার কারণে শপিংমল এবং মার্কেটগামী রাস্তাগুলোতে যানবাহনের বাড়তি চাপ ছিল। সেজন্য যানজটের সৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায়।