• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১১ মে, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনপ্রতি ১০০০ টাকা ভাড়ায় বাড়ি ফিরছেন তারা

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

করোনা সংক্রমণ রোধে দফায় দফায় চলছে লকডাউন। ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া নিরুৎসাহিত করতে বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহণ। রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে বসেছে পুলিশি চেকপোস্ট। তারপরও ঘরমুখো মানুষের স্রোত কিছুতেই থামছে না। নানা পন্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার সাভারে দেখা গেল, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কর্মজীবীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বৈরি আবহাওয়ায় পলিথিন মুড়িয়ে ঝুকি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। নবীনগর-চন্দ্রা, ঢাকা-আরিচা ও টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর-ইপিজেড মহাসড়কে সব খানেই একই চিত্র। সড়কের পাশেই ট্রাকে মানুষ বোঝাই করছেন চালকরা। কাভার্ডভ্যানেও তোলা হচ্ছে যাত্রী।

ছেলে-বুড়ো-শিশু সবাই এভাবে বাড়ি ফিরছেন। বৃষ্টির কারণে আজ কাভার্ডভ্যানের কদর ছিল বেশি। পলিথিন ও ত্রিপল মুড়িয়ে ট্রাকগুলো এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে দেখলে মনে হবে মাল বোঝাই কোনো ট্রাক। কিন্তু কাছে গেলেই দেখা যায়, পলিথিন ও ত্রিপলের নিচে মালামাল নয় জ্যান্ত মানুষ।

কাভার্ডভ্যানে বন্দি হয়ে যাত্রা করবেন মালেক। যিনি কোনাবাড়ির একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশু কন্যা নিয়ে দিনাজপুরে যাচ্ছেন। বাস চলাচল না করায় উপায় না দেখে কাভার্ডভ্যানে উঠেছেন। তিনি বলেন, আমরা শ্রমিকরা আজই ছুটি পেয়েছি। গতবছর ঈদে বাড়িতে যেতে পারি নাই। এবার মা অসুস্থ বাড়ি না গিয়ে উপায় নাই। জানি জীবনের ঝুঁকি আছে। কিন্তু আমাগো তো টাকা নাই যে প্লেনে যাব। জনপ্রতি ১ হাজার টাকা চালককে দিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কাভার্ডভ্যান চালক রফিকুল বলেন, অনেক যাত্রী তো ট্রাকেই যাচ্ছেন। বৃষ্টিতে ট্রাকের চাইতে কাভার্ডভ্যান অন্তত ভালো। যাত্রীরা রাজি হয়েছেন বলেই আমরা যাচ্ছি। যাত্রীর অনেক চাপ রয়েছে।

আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে যাত্রীদের আমরা জীবনের ঝুঁকির বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা কোনোভাবেই মানবেন না। মানবিক কারণে আমরা কিছু বিষয়ে ছাড় দিচ্ছি।