• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

ভিসির অপসারণ দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ, ঝাড়ু মিছিল

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ কেলেঙ্কারি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ দেয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক ও নতুন প্রশাসনিক ভবন ঘুরে মুরাদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশিন (ইউজিসি) ও সরকারের প্রতি দাবি জানান। উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আগামী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঝাড়ু মিছিলের ঘোষণা দেন তারা।

সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, দুর্নীতি, অনিয়ম ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রাম থেমে নেই। আমরা ইউজিসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল করেছি। এ অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব সরকারের। আমরা উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান বই আকারে প্রকাশ করেছি। আর কী কী প্রমাণ দাখিল করলে এর তদন্ত প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হবে? জনগণের টাকায় ইউজিসির কর্তাব্যক্তি ও উপাচার্যদের বেতন দেয়া হয়। তাই আপনারা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।

ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের দফতর সম্পাদক আতাউল হক চৌধুরী বলেন, জনগণের টাকা লুটপাট করে কেউ উপাচার্য পদে থাকতে পারেন না। সরকার এই দুর্নীতির সঠিক বিচার না করলে তার ফল সুখকর হবে না।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সদস্য সচিব আবু সাঈদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র ফ্রন্টের সদস্য কনোজ কান্তি রায় ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য খালিদ মাহমুদ তন্ময়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে চার মাস ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

এ দাবিতে বিক্ষোভ, ধর্মঘটের পর গত ৪ নভেম্বর উপাচার্যের বাসভবন অবরুদ্ধ করেন তারা। পরদিন ৫ নভেম্বর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পিটিয়ে সরিয়ে দেন। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ এক মাস পর গত ৫ ডিসেম্বর থেকে আবার ক্যাম্পাস সচল হয়। তবে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।