• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২৯ জুন, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

পুলিশ দেখেই বিয়ের আসর থেকে পালালেন বর-কনে

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রীতিমতো কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। চার থেকে পাঁচশ অতিথির উপস্থিতিতে রীতিমতো সাজসাজ রব। কেউ খাচ্ছেন, কেউ বা আবার উপহার বুঝিয়ে দিয়ে পান চিবুতে চিবুতে খোশগল্পে মাতছেন। থেমে নেই আয়াসুয়োর দলও। শাড়ি লেহেঙ্গার ঝকমারি সাজে বিয়ে আনন্দে উদ্বেল তারা।

এতসব আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে সবাই হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন যে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এসব অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ঘটনাস্থল চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া এলাকার কর্ণফুলী কনভেনশন হল।

সোমবার (২৮ জুন) দুপুর থেকেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল সেখানে। বেলা বাড়তে অতিথি সমাগম বাড়ার সাথে সাথে ঘনিয়ে আসে বিয়ের ক্ষণও।

একটার দিকে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার-এএসপি (রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়াতেই হুলুস্থূল পড়ে যায়।

পুলিশ দেখে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেয় সবাই। পগারপার কমিউনিটি সেন্টার কর্ণফুলী কনভেনশন হল’র ব্যবস্থাপক এবং আয়োজক ছেলে-মেয়ের মা-বাবাও।  প্লেট, খাবার-দাবার, উপহার সব ফেলে দৌড়ে পালাতে শুরু করে অতিথিরা। বাদ যাননি বর রফিকুল ইসলাম এবং কনে শাহনাজ বেগমও। সুযোগ বুঝে সন্তর্পণে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন  তারা। উৎসবে গমগম করা একটি বিয়েবাড়ি মুহূর্তে ভুতুড়ে বাড়িতে রূপ নেয়।

পরবর্তীতে ঘণ্টা দুয়েক এদিক ওদিক খোঁজখবর করে ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বাদশা এবং পাত্রীর বাবা মো. জামাল উদ্দিনের হদিস মেলে। পরে তারা দুইজন এএসপির নিকট এই মর্মে মুচলেকা দেন যে, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আর কখনো এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন না।

এ বিষয়ে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আনুমানিক চার থেকে পাঁচশ অতিথির উপস্থিতিতে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু আমাদেরকে দেখেই তারা যে যার মতো করে অনুষ্ঠানস্থল হতে চলে যান। তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং আয়োজকদেরকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে।