ময়মনসিংহের ভালুকায় মায়ের দোয়া পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
গত রোববার (১৫ আগস্ট) এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে ভালুকা সিডষ্টোর বাজার থেকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে কথা আছে বলে ১৪ বছরের কিশোরীকে মায়ের দোয়া পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে তুলে।পরবর্ততীতে ওই কিশোরীকে নিয়ে বাসটি ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের কদ্দুসের গ্যারেজের পাশে রাত ১০টার দিকে বাসটি থামায়। এরপর বাসের ভেতরে চালক রহিম (৩০), হেলপার মামুন (২৫) ও আশরাফ (২২) সারারাত ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় গাড়িরচালক রহিম মেয়েটিকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
পরবর্তীতে মেয়েটির বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটি আগে গামের্ন্টসে চাকরি করত। এখন সে তার দাদির বাড়িতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর আমরা তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। দুজন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেসনিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’