• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে রবি প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আবু জাফর বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। বৈঠকে ভিসি স্যার জানান, তদন্তে প্রাথমিক ভাবে চুলকাটার প্রমাণ মিলেছে। যে বিষয়গুলো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তা পর্যালচনার জন্য সময় দরকার। তাই আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়ে বলেছি, এ সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আন্দোলনও এই সময় পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা।  তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সমাধানে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। শিক্ষার্থীরাও সেটা মেনে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ, রেজিস্ট্রার সোহরাব আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। 

উল্লেখ্য,গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন পরীক্ষা হলে প্রবেশের সময়  বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এ ঘটনার পর থেকে  শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও আমরণ অনশন শুরু করেন। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১৬তম সভায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় ও ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। 

পরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ও আন্দোলন স্থগিত করেন। কিন্তু গত শুক্রবারের সিন্ডিকেট সভায় এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা মূলতবি হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন।