• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

চুলে বারবার রং করলে বাড়ে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি : গবেষণা

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

আমাদের মধ্যে এমন অনেক জনই আছেন যারা তাদের চুলে কলব বা রং করিয়ে থাকেন, কারণ এটা এখনকার দিনে প্রায় ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আপনি কি জানেন এই হেয়ার কালার বা চুলের রং করানো স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা খারাপ, এমনকি বার বার চুলের রং করানোর ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে তবুও আমরা সেই দিকে গুরুত্ব দিয় না। তাই বিজ্ঞানীমহলের লোকেরা এই হেয়ার কালার করার থেকে দূরে থাকার কথা বলছেন।

তবে এক্ষেত্রে যদি কালার ব্যবহার করতেই হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা টেম্পুরারি হেয়ার কালার ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। অর্থাৎ যে টেম্পুরারি কালার গুলি একবার দুবার শ্যাম্পু করলে চলে যায় সে রকম কালার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকছেন তারা। খবর: ইন্ডিয়া ডটকম।

এর মূল কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, হেয়ার কালারের মধ্যে থাকে কিছু এমন কেমিক্যাল যেগুলি বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঝুঁকিকে বহুগুণ। এই হেয়ার ডাই তে প্যারাবেন, অ্যামোনিয়ার মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

সাধারণত তিন রকমের চুলের রঙ ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় অস্থায়ী চুলের রঙ। এই রঙগুলো বেশি দিন থাকে না। এক থেকে দুবার শ্যাম্পু করার পরই চলে যায়। অস্থায়ী চুলের রঙ কিছুটা হলেও নিরাপদ। কারণ এতে রাসায়নিকের পরিমাণ কম থাকে।

যে হেয়ার চুলের রঙ বেশি দিন থাকে সেগুলো প্রধানত ত্বকের ক্ষতি করে।

সাধারণত রঙ এক মাসেরও বেশি দিন পর্যন্ত থেকে যায়। আর স্থায়ী চুলের রঙ বেশি ক্ষতিকর। এর মধ্যে রাসায়নিক বেশি মেশানো থাকে, যার থেকে শরীরে শুরু হয় বিভিন্ন রকমের সমস্যা।

চুল ঝরে যাওয়া, মাথার ত্বকে অ্যালার্জি, গলা ও ফুসফুসের সমস্যা, চোখের সমস্যার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই গবেষকরা জানিয়েছেন, খুব বেশি রঙ ব্যবহার করা উচিত না। আর ব্যবহার করলেও অস্থায়ী রঙ ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া প্রাকৃতিক চুলেল রঙ ব্যবহার করা যেতে পারে। আর চুলের রঙ ব্যবহার করার সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।