• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

মিরপুরে বাস সংকট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

রাজধানীর মিরপুর থেকে বিভিন্ন রুটে বুধবারও চলাচলকারী বাস সংকট দেখা গেছে। সকালে কয়েকটি বাস চললেও কিছু সময় পর থেকে তা বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কাজে বের হওয়া মানুষজন। 

এর আগে রোববার থেকে রাজধানীতে কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস অথবা গেটলক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। 
 
এদিকে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে মঙ্গলবার দুপুরেই মিরপুর থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল পরিবহন শ্রমিকরা। এদিন দুপুরে কালশী এলাকায় শ্রমিকরা বাস বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নেন। পরে পূরবী, মিরপুর-১০ ও ১১ এলাকার পরিবহন শ্রমিকরাও যাত্রীদের নামিয়ে সড়কে বাস রেখে সড়ক বন্ধ করে দেয়।

মঙ্গলবার মিরপুর রুট মালিক সমিতির সভাপতি মহারাজ হোসেন বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি সরকারের নির্দেশে মালিকরা সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেছেন। এতে শ্রমিকদের ভাড়া তুলতে পরিশ্রম বেড়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাসের ভাড়া বাড়লেও যাত্রীরা তা দিতে চান না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি লেগেই রয়েছে। যাত্রীদের হাতে কয়েকজন শ্রমিক নাজেহাল হয়েছেন। তাই তারা বাস বন্ধ রেখেছেন।’

তিনি জানিয়েছিলেন, বুধবার সকালে সমিতির অফিসে গিয়ে শ্রমিক নেতারা কথা বলবেন। পরে সকাল থেকে আবার বাস চলবে আশা করা যাচ্ছে।

আর মিরপুর থেকে চলা দিশারি পরিবহনের শ্রমিক কালাম মিয়া বলেছিলেন, ‘নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর যাত্রীদের কাছ থেকে তা নেওয়া যাচ্ছে না। তারা মানতে চান না ভাড়া এত বেড়েছে। আবার বাস মালিকরাও কম টাকা নিতে চান না। শ্রমিকরা কোথা থেকে টাকা দেবে। তাই বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।’

অন্যদিকে বুধবার সকালে মিরপুর থেকে উত্তরা রুটে কয়েকটি বাস চললেও বাড্ডা, নতুন বাজার রুটের কোনো বাস চলতে দেখা যায়নি। নিরুপায় হয়ে এ রুটের যাত্রীরা বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর কিছু বাস চললেও বন্ধ থাকা পরিবহনের শ্রমিকদের তা চলতে বাধা দিতে দেখা যায়।

এই ব্যাপারে বুধবার সকালে মিরপুর রুট মালিক সমিতির সভাপতি মহারাজ হোসেন দাবি করেন, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ গাড়ি রাস্তায় নেমেছে। বাকিগুলো নামেনি। সকালে সমিতি থেকে রাস্তায় গিয়ে গিয়ে কিছু গাড়ি নামিয়েছে। সমিতির লোকেরা দলে দলে ভাগ হয়ে রাস্তায় নেমে গাড়ি নামানোর চেষ্টা করছে। 

শ্রমিকদের সঙ্গে সমিতির নেতারা বসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের (শ্রমিকদের) কোনো নেতা নাই। বিক্ষিপ্তভাবে তারা আন্দোলন করে বাস চলাচল বন্ধ রাখছে। তাই তাদের সঙ্গে বসা যাচ্ছে না।’ 

এই ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, ‘শ্রমিকরা লোকালে বাস চালাতে চায় না। সিটিং চালাতে চায়। লোকাল চালালে তাদের পরিশ্রম বেশি হয়। রাস্তা থেকে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতে হয়। ভাড়া বেড়েছে তাই ভাড়া তুলতে গেলে তা নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা লেগেই থাকে। এতোকিছুর পরও শ্রমিকরা আগে যে বেতন পেত তাই পায়। তাই এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’ 

এদিকে মিরপুর রুট মালিক সমিতির সভাপতি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাস রাস্তায় চলাচল করছে দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। কারণ মিরপুর থেকে সকালে রাস্তায় হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে।