চট্টগ্রামে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ৩ আসামী আটক

 র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। 

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী প্রাইভেটকার যোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে খাগড়াছড়ি হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ ২৩১০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন মিরের হাট বাজার এলাকায় একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশির এক পর্যায়ে র‌্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র‌্যাব সদস্যরা প্রাইভেটকারটি থামানোর সংকেত দিলে চালক প্রাইভেটকারটি র‌্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামায়। এ সময় প্রাইভেটকার থেকে তিনজন ব্যক্তি সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। মোঃ সালাউদ্দিন @ রাসেল (৩৬), পিতা- আবুল কাশেম, সাং- বকশু নগর, থানা- বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগর, ২। নাজমুল হোসেন রিয়াদ (২৫) (চালক), পিতা- মৃত বখতিয়ার হোসেন, সাং- সোনাপুর, থানা- বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগর এবং ৩।  মনির হোসেন (৩২), পিতা- মফিজ, সাং- গুনাবতী, থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লাদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানোমতে প্রাইভেটকারের পিছনে ব্যাক ডালার ভিতর তল্লাশি করে ৩৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা খাগড়াছড়ি জেলা বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।