• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৬ জানুয়ারী, ২০২২ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা হলেন ২য় শ্রেণির গেজেটেড

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

প্রাথমিকের ৫২ হাজার প্রধান শিক্ষককে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এ ছাড়া হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নিতে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার ক্ষমতা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শিক্ষকরা বলছেন, এ রায়ের ফলে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। এছাড়াও বাড়লো সামাজিক মর্যাদা।

জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে ওই রিট দায়ের করেছিলেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রবেশ পদে বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক যুগান্তকারী ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু তখন মন্ত্রণালয় কৌশলে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রবেশ পদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণবিহীনদের ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন পান।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি সভাপতি রিয়াজ পারভেজ জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন।