• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

সুবর্ণচরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা, আহত ৫০

সালাহ উদ্দিন সুমন:

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলামের সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুকের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থক আহত হয় এবং তাদের ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের  চর হাসান ভূঁইয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর ১২টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১নং চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক তাঁর আনারস প্রতিকের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করে।

অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও কর্মীদের উপর হামলা করে আহত করা হয় সমর্থকদের। প্রচার কাজে বাধা সৃষ্টি করা ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দেওয়ার প্রতিবাদে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চরজব্বর ইউনিয়নের ছ্যাইয়াখালী বাজারে সংবাদ সম্মেল করে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে গাড়ি বহর নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি বহরটি একই ইউনিয়নের চরহাসান ভূঁইয়ার হাট বাজারে এসে পৌঁছলে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলামের সমর্থক মঞ্জু, আজাদ, নবী মেম্বারের যোগসাজশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা পিটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থককে আহত করে এবং ২০-৩০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার গাড়ি বহরে আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার ১৫০ জন অনুসারীকে পিটিয়ে আহত করে এবং ২০০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর আমার ৩ জন সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায় তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ১নং চর জব্বর ইউনিয়নে নেীকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা আনারস প্রতিকের প্রার্থীর সাজানো নাটক। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সমর্থক জড়িত নেই। আমি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি মোটরসাইকেলে কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী শার্ট উঠিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজারে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা উত্তোজিত হয়।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ৫৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন আহত হয়েছে এবং কতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে তার প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।