• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২৫ মার্চ, ২০২২ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

রাজাকার খালেক ও রোকনুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড

হেলাল উদ্দীন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল এবং খান রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেক মণ্ডল ছিলেন সাতক্ষীরায় রাজকার বাহিনীর সংগঠক। আর রোকনুজ্জামান ছিলেন ওই বাহিনীর সদস্য।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আব্দুল খালেক মণ্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে রোকনুজ্জামান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। 
 
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তারা সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় যেসব যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছেন, তা উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে। দুই আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৬টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিল প্রসিকিউশন। তার সবগুলোই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচ ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনের জামায়াতের সাবেক এমপি আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের শহীদ রুস্তম আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী। পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় বৈঠকের সময় জামায়াত নেতা খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাতক্ষীরায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে জানতে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট তদন্তে নামে, যা চলে ২০১৭ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

পরে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেক মণ্ডল, রোকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানে মোট ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল যাদের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনেছে ট্রাইব্যুনাল।