• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৫ এপ্রিল, ২০২২ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

রোজায় বেগুন শসা লেবুর দাম আকাশছোঁয়া

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

প্রতিবছরের মতো এবারও বিক্রেতাদের বাড়তি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন সবজির দাম যেন আকাশ ছুঁয়েছে। কারণ ছাড়াই এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকা কেজির বেগুন সোমবার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। একই সময় শসা ও লেবুর দাম বেড়েছে তিনগুণ। পাশাপাশি খেজুর, কলা ও শরবতের জন্য আখের গুড়সহ সব ধরনের ফলের দাম পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হয়েছে। এসব পণ্য কিনতে গিয়ে ক্রেতার দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। বিক্রেতাদের বাড়তি মুনাফা বন্ধে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব কোনো কাজেই আসছে না।

সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। ৩০-৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি হালি (৪ পিস) লেবু বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি আঁটি পুঁদিনা ও ধনেপাতা বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা। অথচ সাত দিন আগে ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে বাজারে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ গঠন করা হযেছে। তারা মনিটরিং করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২৮টি মনিটরিং টিম বাজার দাম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি দেশে ১৪টি সংস্থার তদারকি টিম কাজ করছ। এতকিছুর পরও বাজারে অসাধুরা বাড়তি দামেই পণ্য বিক্রি করছে।

সোমবার খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারের জন্য শরবতে ব্যবহৃত প্রতিকেজি আগের গুড় বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি ডজন (১২টি) কলা বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। যা আগে ৯০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি মাঝারি মানের খেজুর বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ৬০০ ও এক মাস আগে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, রমজান এলে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এবারও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। তাই ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে হলে সরকারের এখন থেকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে।

রাজধানীর কাওরান বাজারে সবজি কেনার সময় শাকিল বলেন, বাজারে কোনো সবজির সংকট নেই। সাত দিন আগে যেমন সরবরাহ ছিল, এখন তার চেয়েও বেশি আছে। কিন্তু হঠাৎ করে প্রতিবছরের মতো এবারও রোজায় ব্যবহৃত সব ধরনের সবজির দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, আমরা রোজা উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে বাজার তদারকি করছি। খুচরা থেকে শুরু করে পাইকারি ও মোকাম পর্যায়ে তদারকি করছি। দাম কোন পর্যায় থেকে বাড়ছে তা খতিয়ে দেখছি। অনিয়ম সামনে এলেই আইনের আওতায় আনা হবে।