• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৮ নভেম্বর, ২০২২ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

ইন্সপেক্টর রুবেলের ফায়ার লাইসেন্স জালিয়াতি

মোঃশামছুল আলম

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠান। দপ্তরটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা  বিভাগের অধীনে, দপ্তরটির কাজ শুধু অগ্নি নির্বাপন করা নয়। তাদের কাজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তদারকি করা, প্রতিষ্ঠানে অগ্নি প্রতিরোধ ফায়ার সেফটি বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা এবং সক্রিয়ভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা একজন ওয়্যার ইন্সপেক্টর এর কাজ এবং দায়িত্ব, সেই মোতাবেক লাইসেন্স নবায়ন করা মাঝে মধ্যে প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে সরেজমিনে পরিদশন করা এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা। কিন্তু আমরা দেখি প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর তদন্ত দল গঠন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

তদন্ত দলের প্রতিবেদনে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত ফায়ার সেফটি না থাকার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।মূল বিষয় অন্তরালে থেকে যায়। এখানে মূলত ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর দায়ী, কারণ ফায়ার লাইসেন্স অথবা লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের একজন ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি তদন্ত না করে প্রতিষ্ঠানের অনিয়মগুলি থাকা পরেও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পের মাধ্যমে  মুচলেকা দিয়ে  প্রতিষ্ঠান গুলোকে ফায়ার লাইসেন্স ও নবায়ন করে থাকেন। তেমনি একজন ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর রুবেল শেখ, তিনি সিবা টেক্সটাইল প্রসেসিং লিমিটেড, শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল পর্ব ১,প্লট নাম্বার১১, রোড নাম্বার ১০, ষষ্ঠ তলা শিল্প ভবনের একটি মাত্র সিঁড়ি, প্রথম তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত কারখানা এবং ষষ্ঠ তলায় একটি টিন সেট রুম আছে যার মধ্যে  শ্রমিকদের বসবাস করেন।যেখানে ফায়ার সেফটি আইনের কারখানার ভিতরে কোন শ্রমিক বসবাস করা যাবে না দুটি সিঁড়ি ব্যতীত ফায়ার লাইসেন্স প্রদান অথবা নবায়ন কোনটাই করা যাবে না। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর রুবেল শেখ সিবা টেক্সটাইল প্রসেসিং লিমিটেডের ফায়ার  লাইসেন্স টি তিন বছরের জন্য নবায়ন করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে শ্যামপুর শিল্প অঞ্চল পর্ব ১ এর ফায়ার সার্ভিস ওয়্যার হউস ইন্সপেক্টর হাসিবুর রহমানের নবায়ন করার কথা তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানটি দুই টি সিড়ি না থাকায় কারখানা ভবনের ভিতরে শ্রমিক বসবাসের কারণে তিনি লাইসেন্সটি নবায়ন করেননি।ইন্সপেক্টর  রুবেল শেখ তার এরিয়া না তার পরেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স টি নবায়ন করিয়াছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও তিনি অর্থের বিনিময়ে ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন করে থাকেন।