ছাত্রলীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধর

পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সবুজ কাজী (২৬) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার মোড়েলগঞ্জ দৈবজ্ঞহাটি বাজার সংলগ্ন একটি মৎস্য আড়তে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের সহায়তার তাকে বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে হামলাকারীরা গা-ঢাকা দিয়েছে।

সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরুজ কাজী স্থানীয় রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামের লোকমান কাজীর ছেলে।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া সবুজ কাজী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। বুধবার রাতে চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে খুলনা থেকে রাতে বাসায় ফিরছিলাম। দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় সৌরভ, শাওন, আব্দুল্লাহ ও চায়ের দোকানদার বাবু তাকে জোর করে অটো থেকে নামিয়ে পাশের মৎস্য আড়তে নিয়ে যান। সেখানে আমার চোখ বেঁধে এবং জামা-প্যান্ট খুলে মারধর করে। রডের বাড়িতে আমার মাথা ফেটে যায় এবং পায়ের মধ্যে রড ঢুকে যায়।

সবুজ আরও বলেন, আমি সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এটা জানার পরে হামলাকারীরা আরও বেশি মারপিট করে কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়।

সবুজ কাজীর স্ত্রী বিথী আক্তার বলেন, রাতে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে মৎস্য আড়তে গিয়ে সবুজকে শার্ট-প্যান্ট পরা সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। হামালাকারীরা সবুজের কাছে থাকা ৪২ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। পরে পুলিশের সহায়তার অটোরিকশায় করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হামলাকারীদের আটক করে বিচার দাবি করেন।

সেলিমাবাদ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল, কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ কাজীর ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এসএম জব্বার ফারুকী বলেন, রাতে হাসপাতালে সবুজ কাজী নামে এক রোগী আসেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি।

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, সবুজ কাজী নামে এক যুবকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।