• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৪ জুন, ২০২৩ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

ওসি এসপিদের তথ্য চেয়ে নেতা-কর্মীদের কাছে বিএনপির চিঠি

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুম, খুন এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওসি, এসপিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে সারা দেশে চিঠি পাঠিয়েছে দলটি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এই চিঠিটি সকল জেলা ও মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সঙ্গে জড়িত, বাদী, তদন্তকারী বা তদারককারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম ও পরিচয় জানাতে বলা হয়েছে।

এতদিন ধরে সারা দেশে মামলা, গ্রেফতার এবং আসামীর তথ্য সম্পর্কে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তথ্য সংগ্রহ করতো। কিন্তু এখন থেকে সেসব মামলার বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ওসি এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হচ্ছে।

গত ১৮ই মে বাংলাদেশের সব মহানগর ও জেলা পর্যায়ের সভাপতি বা আহবায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির প্যাডে পাঠানো ওই চিঠিতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে খুন-গুম, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠাতে বলা হয়েছে।

সেখানে যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তা হলো মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সেই সার্কেলের এএসপি বা এসি, এসপি বা ডিসিদের নাম ও পরিচয়, মিথ্যা বা গায়েবি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও পরিচয় এবং সেই মামলার তদন্তকারীদের তথ্য।

এসব তথ্য সংগ্রহ করতে দলটিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিএনপি ইনফো সেল নামে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। পনের দিনের মধ্যে সেই সেলের কাছে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

দলটির দাবি অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত সারাদেশে দলটির নেতা-কর্মীদের নামে যেসব মামলা হয়েছে, তার সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এসব মামলায় আসামী ৩৬ লাখ। আর কারাগারে আটক ২০ হাজার।

বিএনপির পাঠানো চিঠিতে এসব তথ্য সংগ্রহের কোন কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে মিথ্যা এবং গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে গুম খুন করা হয়েছে। আমরা সেসব মামলা আর এর সাথে জড়িতদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখছি। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে এসব তথ্য ব্যবহার করা হবে।

দলটির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানিয়েছেন, কয়েকটি কারণে এসব তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

এসব ঘটনায় বিচার পেতে ভবিষ্যতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মূলত এসব তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে। তখন যাতে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে কালক্ষেপণ না হয়, সেজন্য এখন থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে এই উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে দলের ওপর নির্যাতন, মিথ্যা বা গায়েবি মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্যরা জড়িত রয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা হবে।

একজন বিএনপি নেতা জানিয়েছেন, সামনের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই কর্মকর্তাদের যাতে দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেজন্য এখন থেকেই তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। (সূত্র: বিবিসি বাংলা)