উৎপাদন ও উন্নতির জায়গায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নজির সৃষ্টি করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের আমলে মানুষ দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারত। জিয়া রহমানের কর্মকাণ্ড বলে শেষ করা যাবে না। তার নিজের ও পরিবারের জন্য কোনো চিন্তা ছিল না। তার চিন্তা ছিল কিভাবে মানুষের এবং দেশের উন্নয়ন করা যায়। দেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশে পরিণত করা যায়। কিভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাল কেটে মৎস্য চাষ এবং শুকনো মৌসুমে কৃষি কাজ করতে হবে, এগুলো ছিল তার মাথায়। অল্প সময়ের মধ্যে এমন কোনো জায়গা নেই যে জিয়াউর রহমানের অবদান নেই। উৎপাদন ও উন্নতির জায়গা তিনি সৃষ্টি করেছেন। একটি জাতি আত্মনির্ভরশীল করা যায় তা তিনি দেখিয়েছেন। গোটা দেশের মানুষকে তিনি কর্মী বানিয়েছিলেন দেশ গঠনের জন্য।’
শনিবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম স্বপনের উদ্যোগে খাবার বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এটি বিতরণের আয়োজন করা হয়। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে দেশে ছিল দুর্ভিক্ষ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ। ওইখান থেকে জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে স্বস্তি দিয়েছিলেন। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বনির্ভর করেছিলেন। তখন মানুষের মধ্যে একটা কথা ছিল- মানুষ দরজা খুলে রেখে ঘুমাতে পারত। একজন সুশাসক ক্ষমতায় থাকলে এমনটা পারা যায়। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর আওয়ামী লীগ ৭২ সালে সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও সরকার মানুষকে হেনস্তা করছে। এই বলছে গার্মেন্ট বন্ধ আবার বলছে খোলা। সরকারের বন্ধ, ছুটি, খোলার তামাশায় ঢাকায় করোনা আক্রান্ত বেশি। মানুষ মারা যাচ্ছে। লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগী। সরকারের দক্ষতার অভাবে করুণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকার ৫০ লাখ লোককে আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছে। সেখান থেকে আওয়ামী লীগের নেতারাও ৫০০ টাকা করে রেখে দিয়েছে। সরকার যে টাকা দিচ্ছে এই টাকা জনগণের। এর আগে আওয়ামী লীগের লোকেরা ত্রাণের চাল, ডাল, তেল চুরি করছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা সব জায়গা থেকে মারিং-কাটিং করছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাজেট পাস হওয়ার আগেই প্রতিটি মোবাইল থেকে টাকা কাটা হচ্ছে। বাজেট পাস হয়নি, শুধু প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে টাকা কাটা শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি নাই বলে যা ইচ্ছে তাই করছে।’