চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৪০তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্রী, ঢাকার মেয়ে ডাঃ আসমাতুন্নেসার সাথে অত্র মেডিকেল কলেজের শিশু মেডিসিন বিভাগে কর্মরত নোয়াখালীর পাত্র ডাঃ আলাউদ্দীন এর সাথে ২০০৩ সালে বিয়ে হয়। ডাঃ আলাউদ্দিন পছন্দ করে তড়িঘড়ি করে বিয়ে করে ডাঃ আসমাকে। তাদের সংসার প্রায় ১ বছর ভালোই চলছিল। এরমধ্যে আসমার কোল জুড়ে একটি পুত্র সন্তান আসে। এরপর ডাঃ আসমার উপর আস্তে আস্তে শুরু হয় নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ডা: আলাউদ্দিন তার নিজ এলাকা নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পরে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে শিশু মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করে। ডাঃ আসমা সংসারের তাগিদে নোয়াখালী স্বামীর সাথে চলে আসে। ডাঃ আলাউদ্দিন তাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিয়ে করে যে তার একজন মা। কিন্তু আসমা বুঝতে পারে তার বাবার ৩জন স্ত্রী আছে। ডাঃ আসমাকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন না করাতে, বিসিএস পরীক্ষা না দিতে বাধ সাধে আলাউদ্দিন। এমনকি ডাঃ আসমা এমফিল করার সুযোগ পেলেও ডাঃ আলাউদ্দীন ইচছাকৃত ভাবে তাকে কোন সহযোগীতা করেনি। পরবর্তীতে ডাঃ আসমা নিজ প্রচেষ্টায় আল্ট্রাসোনোলজিতে ডিপ্লোমা এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ত্রীও প্রসূতি রোগের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে নিজস্ব চেম্বারে রুগীদেরসেবা প্রদান শুরু করে। এর পাশাপাশি একজন সাধারণ ঘরনি হিসেবে রাতে দিনে ডাঃ আসমা ঘরের সবকাজ সহ স্বামী আলাউদ্দিন এর সেবা করেও বুঝতে পারে ডাঃ আলাউদ্দিন এর আসল চরিত্র। আসলে ডাঃ আলাউদ্দিন একাধিক নারীতে আসক্ত। এনিয়ে ঝগড়া ঝাটি লেগে থাকতো। ডাঃ আলাউদ্দিন সবসময় হুমকী দিত ডিভোর্স দিবে। এতো কিছু সহ্য করে ডাঃ আসমা আবার কন্যা সন্তানের জননী হন। যার বয়স ৯বছর। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।হঠাৎ ডাঃ আলাউদ্দিন ক্লিনিক কেনার কথা বলে অসহায় আসমার কাছে ৫০ লক্ষ টাকা দাবী করে। ডাঃ আসমা অপারগতা প্রকাশ করলে ডাঃ আলাউদ্দিন প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান সহ বারবার ডিভোর্সের কথা বলে।
রাতে দিনে শারীরিক নির্যাতনের শিকার আসমা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ২০১৮ এর জুনে ডাঃ আলাউদ্দিন আসমাকে কিছু না জানিয়ে লুলু মারজান নামে এক ফিজিওথেরাপিস্ট কে বিয়ে করে। সেই বিয়ে মাত্র ৫মাস স্থায়ী হয়। ২০২১ এ ডাঃ আসমাকে ডিভোর্স দিয়ে আসমাকে নোয়াখালী ছাড়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। ডিভোর্সের পরে একদিন ছোট্ট মেয়েটা অসুস্থ হলে ডাঃ আসমা তাকে নিয়ে নোয়াখালীর চৌমুহনী প্রাইম ডায়াগনস্টিক এ যায় শিশু চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে। সেখানে ডাঃ আলাউদ্দিন আগে থেকেই চেম্বার করতো। আসমাকে দেখা মাত্র ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার উদ্দেশ্যে। গুরুতর আহত আসমাকে স্থানীয় কতিপয় লোকজন উদ্ধার করে নোয়াখালী সদরহাসপাতালে ভর্তি করে। এছাড়া তাদের একমাত্র ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বাবার এমন অমানবিক আচরণের প্রতিবাদ করলে ডাঃ আলাউদ্দিন তাকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করে। এসম্পর্কিত বহু জিডি ও মামলা স্থানীয় থানায় করা আছে।
বর্তমানে ডাঃ আসমা তার ২ ছেলেমেকে নিয়ে অত্যন্ত অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। ডাঃ আলাউদ্দিন তার অপকর্মের কারণে ইতোমধ্যে এলাকায় ঘৃনিত ও জনরোষের শিকার হয়ে শাস্তি মুলক বদলী করা হয়েছে ২০২২ এর ডিসেম্বরে নীলফামারি সদর হাসপাতালে। কিন্তু সে কখনো নীলফামারী অফিস করেনা মাসের পর মাস। টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে নোয়াখালী চৌমোহনির প্রাইম ডায়াগনস্টিক এ প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত। সে তার সন্তান ২টার কোনপ্রকার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে।
শুধু তাইনা সে সর্বোক্ষন তার প্রাক্তন স্ত্রী ডাঃ আসমাা ও তার ২সন্তাান কে নোয়াখালী ত্যাগের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মাস্তান ঠিক করে আসমা ও ২ সন্তানের গতিবিধি সবসময় নজরদারি করে যাচ্ছে। এমনকি ডাঃ আসমার চেম্বারের পাশে প্রতিদিন বিভিন্ন অচেনা লোকজন ঘোরাঘুরি করে যা আসমার জীবনকে অতীষ্ঠ ও বিপন্ন করে তুলেছে। ডাঃ আলাউদ্দিন তার নিজস্ব ফ্লাট, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি নামে মাত্র মুল্যে বিক্রয় করে ছেলে মেয়ে দুটিকে পথে তুলে দিয়ে আসমাকে নোয়াখালী ছাড়তে বাধ্য করার হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এতেও কাজ৷ না হলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রেখেছে। ডাঃ আসমা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা, খোরপোশ মামলা,হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের মামলা করেন নোয়াখালী বিজ্ঞ চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে। বর্তমানে খোরপোশ মামলা ও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে আহত করার মামলা নোয়াখালী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চলমান।
অসহায় ডাঃ আসমা বিভিন্ন দপ্তরে ডাঃ আলাউদ্দিন এর কুকীর্তির প্রমাণ উপস্থাপন করেছে ইতোমধ্যে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি অবগত আছেন। তারপরও ডাঃ আলাউদ্দিন ধরাছোয়ার বাইরে রয়েগেছে। অথচ ডাঃ আলাউদ্দিন ছাত্রজীবন থেকেই সিলেট মেডিকেল কলেজের চিহ্নিত একজন দূধর্ষ শিবির ক্যাডার। বর্তমানে ন্যায়বিচারের মুর্ত প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থেকেও কি অসহায় ডাঃ আসমা ন্যায় বিচার, নিরাপদ জীবন বঞ্চিত হয়ে ২সন্তান সহ অকালে প্রাণ হারাবেন? স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে প্রশ্ন একটাই একজন লম্পট, বিকৃতরুচি বিবেকহীন ডাঃ আলাউদ্দিন এর সকল অপরাধ কি চাপা পড়ে যাবে টাকার কাছে তার অপরাধের কোন শাস্তি কি সে পাবেনা। ডাঃ আসমা ২টা সন্তানকে নিয়ে নিজের ছোট্ট ব্যক্তিগত চেম্বারে রুগী সেবার বিনিময়ে স্বল্প আয়ে একরকম মানবের তর জীবন যাপন করছে আর প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে এক নিদারুণ অনিশ্চয়তায়।