গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর(নয়নপুর) গ্রামের হত দরিদ্র ইমান আলীর কিশোরী কণ্যা আসমা আক্তার স্থানীয় একটি ফারসিং নীট কম্পোজিট কারখানার মালিক আবু তাহের বাসায় হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটি কাজের লোক হিসেবে গিয়েছিল।
কিন্তু কাজের মেয়েটি উপর অমানুষিক শারিরীরিক র্নিযাতন করতো প্রতিদিন ওরা। জানা গেছে,দরিদ্র মেয়েটি মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিময়ে ওই কারখানার মালিক আবু তাহের বাসায় কাজের জন্য গিয়েছিল।
মেয়েটির বাবা ইমান আলী জানান,ঢাকার উত্তরার ৩নং সেক্টরের ৭/বি রোডের ৩১ নং বাসায় টুকটাক কিছু কাজ করবে।তিনি আরও জানান ভেবেছিলাম বড়লোকদের বাসায় হয়তো আমার মেয়েটি ভালো ভালো খাবার এবং আরাম আয়েসে থাকতে পারে।
কিন্তু বড়লোকের বাসায় আমার মেয়েটিকে আমার বিয়ে ঠিক এরকম ভাবে অমানবিক নির্যাতন করবে আমি ভাবতেও পারিনাই।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী আসমা আক্তার বলেন, ওইখানে যাওয়ার পর থেকেই আমার সাথে ওরা ভালো ব্যবহার কখনোই করে নাই কথায় কথায় চড় থাপ্পড় মারতেন।
কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেই নির্যাতন করতো প্রতিদিন। ওই বাসার মালিক আবু তাহের ও মারধোর করতো।
এবং সিগারেটের আগুনের ছেকাও দিয়েছেন। মালিকের স্ত্রী শাহজাদীও শরীরে গরম তেলের ছিটাও দিতেন। মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিতেন শরীরের বিভিন্ন স্থানে।
এর পর মেয়েটি নির্যাতনের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাসার মালিক আবু তাহের গাড়ীর চালকের মাধ্যমে গত ২৯জুন তাদের বাড়ীতে পৌছে দেয়।
গত ১ বৎসরে তার মেয়েকে দেখতে দেয়নি তারা। মুঠোফোনেও বাড়ীতে যোগাযোগ করতে দেয়নি। এমন অবস্থায় তার মেয়ের উপর নির্যাতনকারীদের শাস্তি দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে ফারসিং নীট কম্পোজিট কারখানার মালিক আবু তাহের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান ক্রাইম প্রতিদিনকে বলেন,মেয়েটির পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ করতে এসেছিল। তবে ঘটনাটি রাজধানীর উত্তরা হওয়ায় ওই পরিবারকে উত্তরার থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।