মানুষকে ভালোবাসুন, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ুন!

  • ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক
  • ২০২০-০১-৩১ ০১:৪৫:৩০
popular bangla newspaper, daily news paper, breaking news, current news, online bangla newspaper, online paper, bd news, bangladeshi potrika, bangladeshi news portal, all bangla newspaper, bangla news, bd newspaper, bangla news 24, live, sports, polities, entertainment, lifestyle, country news, Breaking News, Crime protidin. Crime News, Online news portal, Crime News 24, Crime bangla news, National, International, Live news, daily Crime news, Online news portal, bangladeshi newspaper, bangladesh news, bengali news paper, news 24, bangladesh newspaper, latest bangla news, Deshe Bideshe, News portal, Bangla News online, bangladeshi news online, bdnews online, 24 news online, English News online, World news service, daily news bangla, Top bangla news, latest news, Bangla news, online news, bangla news website, bangladeshi online news site, bangla news web site, all bangla newspaper, newspaper, all bangla news, newspaper bd, online newspapers bangladesh, bangla potrika, bangladesh newspaper online, all news paper, news paper, all online bangla newspaper, bangla news paper, all newspaper bangladesh, bangladesh news papers, online bangla newspaper, news paper bangla, all bangla online newspaper, bdnewspapers, bd bangla news paper, bangla newspaper com, bangla newspaper all, all bangla newspaper bd, bangladesh newspapers online, daily news paper in bangladesh, bd all news paper, daily newspaper in bangladesh, Bangladesh pratidin, crime pratidin, অনলাইন, পত্রিকা, বাংলাদেশ, আজকের পত্রিকা, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র, ঢালিউড, বলিউড, হলিউড, বাংলা গান, মঞ্চ, টেলিভিশন, নকশা, ছুটির দিনে, আনন্দ, অন্য আলো, সাহিত্য, বন্ধুসভা,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অটোমোবাইল, মহাকাশ, গেমস, মাল্টিমিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, অপরাধ, আইন ও বিচার, পরিবেশ, দুর্ঘটনা, সংসদ, রাজধানী, শেয়ার বাজার, বাণিজ্য, পোশাক শিল্প, ক্রিকেট, ফুটবল, লাইভ স্কোর, Editor, সম্পাদক, এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ, A Z M Mainul Islam Palash, Brahmanbaria, Brahmanbaria Protidin, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন, Bandarban, Bandarban Protidin, বান্দরবন, বান্দরবন প্রতিদিন, Barguna, Barguna Protidin, বরগুনা, বরগুনা প্রতিদিন, Barisal, Barisal Protidin, বরিশাল, বরিশাল প্রতিদিন, Bagerhat, Bagerhat Protidin, বাগেরহাট, বাগেরহাট প্রতিদিন, Bhola, Bhola Protidin, ভোলা, ভোলা প্রতিদিন, Bogra, Bogra Protidin, বগুড়া, বগুড়া প্রতিদিন, Chandpur, Chandpur Protidin, চাঁদপুর, চাঁদপুর প্রতিদিন, Chittagong, Chittagong Protidin, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রতিদিন, Chuadanga, Chuadanga Protidin, চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিদিন, Comilla, Comilla Protidin, কুমিল্লা, কুমিল্লা প্রতিদিন, Cox's Bazar, Cox's Bazar Protidin, কক্সবাজার, কক্সবাজার প্রতিদিন, Dhaka, Dhaka Protidin, ঢাকা, ঢাকা প্রতিদিন, Dinajpur, Dinajpur Protidin, দিনাজপুর, দিনাজপুর প্রতিদিন, Faridpur , Faridpur Protidin, ফরিদপুর, ফরিদপুর প্রতিদিন, Feni, Feni Protidin, ফেনী, ফেনী প্রতিদিন, Gaibandha, Gaibandha Protidin, গাইবান্ধা, গাইবান্ধা প্রতিদিন, Gazipur, Gazipur Protidin, গাজীপুর, গাজীপুর প্রতিদিন, Gopalganj, Gopalganj Protidin, গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ প্রতিদিন, Habiganj, Habiganj Protidin, হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ প্রতিদিন, Jaipurhat, Jaipurhat Protidin, জয়পুরহাট, জয়পুরহাট প্রতিদিন, Jamalpur, Jamalpur Protidin, জামালপুর, জামালপুর প্রতিদিন, Jessore, Jessore Protidin, যশোর, যশোর প্রতিদিন, Jhalakathi, Jhalakathi Protidin, ঝালকাঠী, ঝালকাঠী প্রতিদিন, Jhinaidah, Jhinaidah Protidin, ঝিনাইদাহ, ঝিনাইদাহ প্রতিদিন, Khagrachari, Khagrachari Protidin, খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি প্রতিদিন, Khulna, Khulna Protidin, খুলনা, খুলনা প্রতিদিন, Kishoreganj, Kishoreganj Protidin, কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ প্রতিদিন, Kurigram, Kurigram Protidin, কুড়িগ্রাম, কুড়িগ্রাম প্রতিদিন, Kushtia, Kushtia Protidin, কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, Lakshmipur, Lakshmipur Protidin, লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিদিন, Lalmonirhat, Lalmonirhat Protidin, লালমনিরহাট, লালমনিরহাট প্রতিদিন, Madaripur, Madaripur Protidin, মাদারীপুর, মাদারীপুর প্রতিদিন, Magura, Magura Protidin, মাগুরা, মাগুরা প্রতিদিন, Manikganj, Manikganj Protidin, মানিকগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিন, Meherpur, Meherpur Protidin, মেহেরপুর, মেহেরপুর প্রতিদিন, Moulvibazar, Moulvibazar Protidin, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার প্রতিদিন, Munshiganj, Munshiganj Protidin, মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিদিন, Mymensingh, Mymensingh Protidin, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ প্রতিদিন, Naogaon, Naogaon Protidin, নওগাঁ, নওগাঁ প্রতিদিন, Narayanganj, Narayanganj Protidin, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন, Narsingdi, Narsingdi Protidin, নরসিংদী, নরসিংদী প্রতিদিন, Natore , Natore Protidin, নাটোর, নাটোর প্রতিদিন, Nawabgonj, Nawabgonj Protidin, নওয়াবগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ প্রতিদিন, Netrokona, Netrokona Protidin, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা প্রতিদিন, Nilphamari, Nilphamari Protidin, নীলফামারী, নীলফামারী প্রতিদিন, Noakhali, Noakhali Protidin, নোয়াখালী, নোয়াখালী প্রতিদিন, Norai, Norai Protidin, নড়াইল, নড়াইল প্রতিদিন, Pabna, Pabna Protidin, পাবনা, পাবনা প্রতিদিন, Panchagarh, Panchagarh Protidin, পঞ্চগড়, পঞ্চগড় প্রতিদিন, Patuakhali, Patuakhali Protidin, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী প্রতিদিন, Pirojpur, Pirojpur Protidin, পিরোজপুর, পিরোজপুর প্রতিদিন, Rajbari, Rajbari Protidin, রাজবাড়ী, রাজবাড়ী প্রতিদিন, Rajshahi , Rajshahi Protidin, রাজশাহী, রাজশাহী প্রতিদিন, Rangamati, Rangamati Protidin, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি প্রতিদিন, Rangpur, Rangpur Protidin, রংপুর, রংপুর প্রতিদিন, Satkhira, Satkhira Protidin, সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রতিদিন, Shariyatpur, Shariyatpur Protidin, শরীয়তপুর, শরীয়তপুর প্রতিদিন, Sherpur, Sherpur Protidin, শেরপুর, শেরপুর প্রতিদিন, Sirajgonj, Sirajgonj Protidin, সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন, Sunamganj, Sunamganj Protidin, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, Sylhet, Sylhet Protidin, সিলেট, সিলেট প্রতিদিন, Tangail, Tangail Protidin, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল প্রতিদিন, Thakurgaon, Thakurgaon Protidin, ঠাকুরগাঁও, ঠাকুরগাঁও প্রতিদিন, ক্রাইম প্রতিদিন, ক্রাইম, প্রতিদিন, Crime, Protidin, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, অমুবাচা, crimeprotidin

মানুষকে ভালোবাসুন। লৈঙ্গিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনো পরিচয় নয়, মানুষকে ‘মানুষ’ হিসেবে ভালোবাসুন। দেখবেন, আপনি অচিরেই পৌঁছে গেছেন স্বর্গে। কারন মানুষের মধ্যে আছে অনন্তশক্তি আর বিরাট সম্ভাবনা, যার ফলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি লাভ করবেন সেই অমিতশক্তি, পৃথিবীতে স্বর্গের স্পর্শলাভ এবং সবার জন্য বসবাসযোগ্য, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ। বিশ্বাস না হলে একবার ভালোবেসেই দেখুন না।

ভালোবাসা ও সম্প্রীতি হলো পরশমণির মতো, যার সংস্পর্শে এলে মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর হতে হতে একসময় শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছায়। লবণ পানিতে যেমন গলতে গলতে নিঃশেষ হয়ে যায়, তেমনি ভালোবাসার মাধ্যমেও মানুষের হিংস্র প্রকৃতি ও বিদ্বেষ প্রবণ আচরণ খুব দ্রুত বিলুপ্ত হয়। ভালোবাসা ও সম্প্রীতি কট্টর শত্রুকেও বন্ধুতে রূপান্তরিত করে, এমনকি দূরের অজানা-অচেনা কাউকেও আপন সহোদরের ন্যায় মায়া-মহব্বত করতে শেখায়। শত্রুভাবাপন্ন দ্বিপক্ষের মাঝে সমন্বয়-সমঝোতা ও ঐক্য সৃষ্টি করে এবং উভয়পক্ষকে এক মন-এক দেহের ন্যায় পরিণত করে।

ইসলামে ভালোবাসা-সৌহার্দ্যের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। কোনো ব্যক্তিকে সৎকাজের প্রতি আহ্বান বা অপরাধ থেকে দূরে রাখতে গেলে আগে তাকে ভালোবাসতে হবে এবং তার প্রতি ভালোবাসা ও সম্প্রীতির আচরণ দেখাতে হবে। তাকে নিজের কাছে আপন করে নিতে হবে।

মানুষকে ভালোবাসার জন্য শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। সুতারাং আসুন মানুষকে ভালোবাসি অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি। একটু ভেবে দেখুন, পৃথিবীতে কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেয় না। অপরাধ কারো নেশা নয় (ব্যক্তি বিশেষের কথা আলাদা)। প্রতিটি মানুষই চায় সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য জীবন। তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে, মানুষ কেন অপরাধ করে? প্রতিকুল পরিবেশের কারণে, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভূমিকার কারনে, পরিবার এবং সমাজে দ্বন্দ্ব সংঘাতের কারনে, রাষ্ট্রের তৈরি আইনের দূর্বলতার কারনে, বিচার ব্যবস্তার দূর্বলতার কারনে, নিজের ক্ষমতা বা স্বার্থের জন্য দূর্বলদের মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার কারনে।

মানুষ কেন অপরাধ করে, এর সুনিদিষ্ট কোন কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও, অপরাধবিদদের মতে অপরাধের মূল কারণগুলো হলো :

যখন অপরাধ করে ধরা পড়ার ঝুঁকির চেয়ে অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত সুবিধা বেশি হয়, তখন মানুষ এমন করে।

যখন অপরাধের মাধ্যমে অন্যদের সুবিধা পেতে দেখে, তখন নিজেও অপরাধ করতে উৎসাহিত হয়।

কারো কারো মধ্যে অপরাধ করার একটা প্রবণতা থাকে। অর্থাৎ তার মধ্যে অপরাধ করার জন্য এক ধরনের জিনগত প্রস্তুতি নিয়েই তারা জন্মায়। পুরুষদের মধ্যে নারীদের তুলনায় আগ্রাসী আচরণ বেশি দেখা যায়। পুরুষদের মধ্যে আছে xy ক্রোমোজম, যেখানে নারীদের থাকে xx ক্রোমোজম। কিছু পুরুষের মধ্যে xyy ক্রোমোজম দেখা যায়। এদের মধ্যে অপরাধ করার হারও বেশি থাকে।

মানুষের মস্তিষ্কে ‘সেরোটনিন’ নামে এক ধরনের নিউরোকেমিক্যালের ঘাটতি থাকলে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
কেউ যদি অনেক বেশি পরিমাণে ‘স্টেরয়েড’ শরীরে নেয়, তবে তার মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ বেড়ে যেতে পারে।

 
মস্তিষ্কের কোনো অসুখ, যেমন—টিউমার, মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কে অপারেশনের সময়ে সৃষ্ট ক্ষতি ইত্যাদি কারণে মস্তিষ্কের আক্রমণাত্মক প্রবণতা নিয়ন্ত্রণকারী অংশের ক্ষতি হলে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বদলে যেতে পারে এবং সে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

শৈশবে যারা ভালোবাসা পায় না, নির্যাতন ও ঘৃণার মধ্যে, অবহেলা ও তাচ্ছিল্যের মধ্যে, বাস্তব ঝুঁকির মধ্যে যারা বেড়ে ওঠে; তাদের কারো কারো মধ্যে এই প্রবণতা থাকে।

যখন মানুষ উপলব্ধি করে যে সে যতই চেষ্টা করুক, তার আর্থিক অবস্থা উন্নতি করা একদম সম্ভব নয়, অথচ সে খুবই বঞ্চিত, তখন তার মধ্যে অপরাধ করার প্রবণতা বাড়তে পারে। সমাজ সম্পদশালীদের মূল্যায়ন করে। দরিদ্র সম্পদ পাওয়ার আশায় অপরাধ করে। সম্পদশালী আরো সম্পদের আশায় অপরাধ করে। তবে সম্পদশালীর তুলনায় দরিদ্ররা বেশি ধরা পড়ে। কারণ, সমাজ সম্পদশালীদের পক্ষে।

সমাজে যখন অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়, যখন নৈতিকতার অবক্ষয় হয়, তখন এই সমাজের সদস্যদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পায়। কোনটি নীতি, কোনটি নীতি নয় সেই ধারণা পরিষ্কার না থাকলে সমস্যা তৈরি হয়। ধর্ম আমাদের নৈতিকতা শেখায়। সমাজ নৈতিকতা রক্ষা করতে উৎসাহিত করে।

যাদের বাবা-মা বা ঘনিষ্ঠ যত্নগ্রহণকারী অপরাধী, তাদের মধ্যে অপরাধ করার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়। কেননা, শিশু তার ঘনিষ্ঠজনকে দেখেই শিখে। যাদের বাবা–মা মাদক ব্যবহারকারী, তাদের মধ্যেও এমনটা হতে দেখা যায়। 

যেসব পরিবারে নৈতিকতাকে মূল্যায়ন করা হয় না, অনৈতিক কাজের এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা আছে—সেসব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি থাকে।

যেসব পরিবার কোনো কারণে একজন মাত্র অভিভাবক দিয়ে চালিত হচ্ছে, সেখানে শিশুদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি দেখা যায়। যদি কোনো কারণে বাবা-মা দুজনই থাকেন, কিন্তু শিশুর প্রতি ভালোভাবে লক্ষ রাখতে না পারেন, তবেও এই ঝুঁকি বাড়ে। যদি কোনো কারণে শিশুর অন্যায় আচরণগুলো পুরস্কৃত হয়, তবে সে এই ধরনের আচরণে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে ও অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে।

যেসব শিশু-কিশোর অপরাধপ্রবণ শিশু-কিশোরদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে, তারাও অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে। এ ধরনের দলে অপরাধ করার প্রতি এক ধরনের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা দেখা যায়।

ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র এলাকা, একসঙ্গে গাদাগাদি করে যেখানে অনেক মানুষ থাকে, সেখানে অপরাধপ্রবণতা বেশি দেখা যায়।

একবার যখন কোনো কারণবশত কেউ অপরাধ করে ফেলে, কোনো না কোনো কারণে ‘অপরাধী’ হিসেবে পরিচিত পায়, তখন তার মানবিক অধিকার গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হয়। রাষ্ট্র, সমাজ বা ধর্ম আর তাকে রক্ষা করে না। তখন তার জন্য আরো অপরাধ করাই সহজ হয় এবং অপরাধীদের সমাজে (সমাজের মধ্যে ক্ষুদ্র ও অচ্ছুত সমাজ) মেশাই তার জন্য সহজ হয়। সে আরো অপরাধ করে ধীরে ধীরে পাকা অপরাধী হয়ে ওঠে। কেউ হয়তো চরিত্রহীন কোনো আচরণে জড়িয়ে গেল। এখন চরিত্রহীনতা ছাড়া আর গতি নেই। পরিবার সরে গেছে। বাঁচতে তো হবে।

মাদক ব্যবহারকারী, অ্যান্টিসোশ্যাল ও বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার ধরনের মানসিক রোগে যারা ভুগছে, তাদের মধ্যে অপরাধের ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। যারা গুরুতর ব্যক্তিত্বের রোগে ভোগে, তাদের চিন্তাধারা, তাদের প্রতিক্রিয়া একদম অন্য রকম। তারা পৃথিবীটা নিজের মনে করে। অন্যেরও যেকোনো অনুভূতি থাকতে পারে, তারাও যে দুঃখ-কষ্ট পেতে পারে সেই অনুভূতি তার থাকে না। অনেকের, এমনকি নিজের প্রতিও মায়া থাকে না। অন্যের প্রতি মায়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। তারা ভাবতে পারে, ‘আমাকে যেহেতু রাগিয়ে দিয়েছ বাছাধন, এখন তার ফল ভোগ করো’, ‘আমি যদি এখনই ওকে উপযুক্ত শাস্তি না দিই, তবে ও আমার মাথায় উঠে বসবে’, ‘ওর জন্য এটাই পাওনা’ ইত্যাদি।
অনেক সময় বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষগুলো আত্মহত্যা করে। আবার কেউ কেউ পরিবারের ঘনিষ্ঠজনকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে। এক ধরনের নেতিবাচক বিশ্বাসের বশবর্তী হয়েই তারা এটা করে। তারা ভাবতে পারে, ‘আমি এই পৃথিবীর সঙ্গে আার পারছি না। মৃত্যুই আমার মুক্তির উপায়। আমার অবর্তমানে আমার সন্তান অনেক কষ্ট পাবে। তাই ওকেও নিয়ে যাই।’

মন আর মস্তিষ্কের একত্রে থাকার নাম একাগ্রতা। আর একাগ্রতার একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে ভালোবাসা। আপনি ভালোবাসলে যেমন ভালো সময় কাটাতে পারবেন তেমনই আপনি শিখবেন কিভাবে রাগকে সামাল দিতে হয়, কিভাব মন খারাপের লাগাম টানতে হয়, কিভাবে ভালোবাসার মানুষের মনের মতো হতে হয়। লোহা পুড়ে যেমন সোনা হয় তেমনই ভালোবাসলে মানুষ পুড়ে হয় খাঁটি।

মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে যায় (হুমায়ূন আহমেদ)।

ভালবাসা দিয়ে মরুভুমিতে ফুল ফোটানো যায় (ডেভিসবস)।

জীবনকে ঘৃণা কোরোনা ভালোবাসতে শেখো। ভালোবাসা দিয়ে এবং ভালোবাসা পেয়ে তোমার জীবনকে স্বর্গীয় সুষমায় উদভাসিত করে তালো (মিলটন)।

তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও, তা হলে তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো (লেলিন)।

মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)।

সুতারাং একমাত্র ভালোবাসাই পারে মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে এবং অপরাধীকে অপরাধ থেকে সরাতে।

কারও মনে যদি ভালোবাসা ও সম্প্রীতি না থাকে, তাহলে মানুষকে ভালো কাজের দাওয়াত দেওয়া ও মানব সমাজকে সঠিক পথের দিশা দেওয়া অসম্ভব। যুক্তিতর্কের ফুলঝুরি দিয়ে ও তথ্য-তত্ত্বের ভারে ন্যুব্জ করে যতটুকু সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে বেশি সফল হওয়া যায় ভালোবাসা দীপ্ত হৃদয় ও অন্তর দিয়ে। উদাহরন সরুপ ধরেন একটা লোক চুরি করে আপনি তাকে ধরে মারলেন বা পুলিশের কাষ্টরিতে দিয়ে শাস্তি দিলেন, তাতে কি তার চুরি বন্ধ হবে। হবে না, তাহলে আপনাকে কি করতে হবে? চুরি করা ব্যক্তিকে ঢেকে ভালোবেসে কাছে বসিয়ে কিছু খাইয়ে চুরি করার অপরাধ ও শাস্তি সম্পর্কে বুঝাতে হবে এবং জানতে হবে কেন চুরি করে? কারন অনুযায়ী সমাধান করতে হবে, তাহলেই সম্ভব ঐ ব্যক্তিকে অপরাধ থেকে ফিরিয়ে আনা।

যখন অপরাধ সংগঠিত হয়, তখন দুর্বলরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দরিদ্র অসহায় মানুষ, নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অপরাধীদের অপরাধ অনুপাতে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের ভাবার দরকার, কেন অপরাধ হয়। কেন অপরাধ হয়, তার মধ্যেই নিহিত আছে অপরাধ প্রতিরোধের উপায়গুলো। সভ্য মানুষ হিসেবে আমাদের সবারই, ব্যক্তির, সমাজের, রাষ্ট্রের সবারই দায়িত্ব হলো অপরাধ প্রতিরোধ করা। ভালোবেসে, সমন্বিত প্রচেষ্টায় অপরাধের কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অপরাধ কমতে কমতে একসময়ে শূন্যের কোটায় চলে আসবে এবং আমরা পাবো অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ।

সুতারাং আসুন সবাই মিলে এক সাথে কাজ করি, অপরাধ মুক্ত ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী ও সরকারকে সহায়তা করি।

লেখক
এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ
সম্পাদক
ক্রাইম প্রতিদিন
প্রতিষ্টাতা ও চেয়ারম্যান
অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই

নিউজটি শেয়ার করুন

 
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
-->

Shotoborshe Mujib, A Z M Mainul Islam Palash, Crime Protidin Media And Publication