সারাদেশে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে । আজ ৭ এপ্রিল সারাদেশে ২জন চিকিৎসকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাড়ালো আট জন। আক্রান্ত চিকিৎসকদের মাঝে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা. নিরুপম দাশ বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে ৮ জন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে ডেল্টা হাসপাতালের ৩ জন, বিএসেমেমিউ এর ১ জন,সিলেট ওসমানি মেডিকেলের ১ জন ,নারায়নগঞ্জের একজন এবং সর্বশেষ আজকেই ৩ জন চিকিৎসকের করোনা টেস্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ১জন আর্মি মেডিকেল কোর এ ও অন্যজন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেএক্স এ কর্মরত ছিলেন। আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে একজন চিকিৎসক ষাটোর্ধ ও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ,তিনি বর্তমানে আইসিইউ তে আছেন ।বাকী ৮ জনের শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। ‘
সারাদেশে চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় সকল সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ করছে সরকার কিন্ত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে না। এর ফলে বেসরকারি হাসপাতাললে চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঢাকা শহরে প্রায় ১২০০ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে কিন্ত মালিকপক্ষ পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ না করায় সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
ডা. নিরুপম প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এই সংকটময় সময়ে চিকিৎসকরা যখন জনগনকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কিছু বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে এবং বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ৩০-৩৫% পর্যন্ত বেতন কেটে রাখা হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
উল্লেখ্য যে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৪১ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।