পরিবারের ইচ্ছে পূরণ ও ছেলের বিয়ে উপলক্ষে এই প্রথম হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরেছেন ইতালী প্রবাসী নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী মৌর্জার ৭নং ওয়ার্ডের প্রবাসী ইসমাইল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ইতালী থেকে বিমানে করে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামলেন ইতালী প্রবাসী ইসমাইল ও মেয়ের জামাই এনামুল হক জুয়েলের ছোট ভাই ইতালী প্রবাসী আকরামুল হক রুবেল তাদেরকে রিসিভ করতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইতালী প্রবাসী ইসমাইলের বড় ভাই নিজাম উদ্দিন এবং জামাতা এনামুল হক জুয়েল ।
এবার তাদের বাড়ি ফেরার গল্পটি সিনেমার মতোই। শত শত উৎসুক জনতা ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাকে দেখার জন্য। গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠ। সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরি হেলিপ্যাড। দল বেঁধে ফসলি জমির আইল দিয়ে, সড়ক দিয়ে নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন হেলিপ্যাডের পাশে বাড়ির আঙিনায়।
এমন দৃশ্য নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী মৌজার ৬নং ওয়ার্ডের।
আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। দুপুর ১টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়ীর সংলগ্ন হাউজিং ফসলি জমির হেলিপ্যাডে নামেন তারা। এসময় ইতালী প্রবাসী ইসমাইলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ২০০২ সালে প্রবাসী ইসমাইল এর পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে ইতালী পাড়ি জমান। এর পরে দুই ছেলে, তার চার বোনের ছেলে ও এক ভাইয়ের ছেলেসহ অনেক আত্মীয়-স্বজনকে ইতালীতে নিয়ে যান।
এর আগে তিনি কয়েকবার বাড়িতেও এসেছেন। কিন্তু পরিবারের ইচ্ছা ও ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে ফিরছেন। এ সময় তাদের দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। ইতালী প্রবাসী ইসমাইলকে দেখতে আসা মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সে খুব ভালো মানুষ। গ্রামের কারও বিপদ আপদে তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে চেষ্টা করেন।
এ সময় প্রবাসী মো: ইসমাইল বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাস ছিলাম। আমার ইচ্ছে পূরণ ও আমার ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে নিজের শখ মেটাতে এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমি ব্যতিক্রমভাবে বাড়ি ফিরি। নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি আমি আমার সাধ্য মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষের পাশে থাকি। সার্বিক সহযোগিতা করি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো।