পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মাগরিবের নামাজের আগেই শেষ হয়ে গেলো জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক প্রস্তাবের ওপর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংসদের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম এই অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটে। এর আগে শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। তিন মাসের মধ্যে সংসদ অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় করোনাভাইরাসজনিত এই দুর্যোগময় মুহূর্তেও এ অধিবেশনটি ডাকতে হয়েছে।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তুলে ধরেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের জন্য তিনি শোক প্রকাশ করেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও অধিবেশন ডাকার কারণও ব্যাখ্যা করেন। সম্ভাব্য সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে বলেও স্পিকার এ সময় উল্লেখ করেন।
এর পরপরই স্পিকার নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংসদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ সময় তিনি মনোনয়ন দেন। সদস্যরা হলেন আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদ, এবি তাজুল ইসলাম ও মেহের আফরোজ চুমকি। এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সরকারি কর্ম কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট উত্থাপন করেন। পরে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার।
সংসদ অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংসদের বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রধানমন্ত্রীসহ সব সদস্যই মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং চুলের আচ্ছাদন ব্যবহার করেছেন।
করোনাভাইরাসজনিত কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক সদস্য বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। সংসদে পরস্পর তারা যথেষ্ট দূরত্ব রেখে বসেন। সংসদ বৈঠকের কোরাম পূর্ণ হওয়ার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ৬০ জন বা তার সামান্য কিছু বেশি সদস্য সংসদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এজন্য সিনিয়র সংসদ সদস্য এবং ঢাকার বাইরে অবস্থানকারী এমপিদের উপস্থিত হতে আগেই নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল বলে আগেই নিশ্চিত করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।