ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ যেখানে কৃষকদের পাশে থেকে বিনা মূল্যে ক্ষেত থেকে ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে সেখানে মন্ত্রী, এমপি ও জনপ্রতিনিধিরা ধানকাটার নামে শো অফ করে কৃষকদের সাথে মশকরা করছেন। যা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও দলের বাইরে চলছে সমালোচনার ঝড়। দলের নেতাদের মতে, ছাত্রলীগ বা যুবলীগের মহৎ কাজকে বিতর্কিত করছেন খোদ দলেরই জনপ্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি দেখা গেছে, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাছান ছোট মনির কাচা ধান কেটে সেই ভিডিও ফেসবুকে দিয়েছেন; যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল ধান কাটতে মাঠে গিয়েছেন কিন্তু তার ধান কাটার ছবি তুলছেন অন্তত দশজন নেতাকর্মী। এছাড়া আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের ধানকাটাসহ কয়েকজন সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপিদের ধানকাটা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
যেখানে কৃষকদের ধানকাটা প্রয়োজন, ছাত্রলীগ যুবলীগ কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে, সেখানে শুধুমাত্র শো অফ করার জন্য জনপ্রতিনিধিরা যাচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনা জনপ্রতিনিধিদের কোথাও কোন দায়িত্বে রাখছেন না এরপরও জনপ্রতিনিধিদের অযোগ্যতার কারণে তাদের লজ্জাবোধ হচ্ছে না। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ কৃষকদের পাশে দাড়াচ্ছে সেই মহৎ কাজও বিতর্কিত করছে। ধান কাটার নামে কৃষকদের সঙ্গে মশকরা করছেন জনপ্রতিনিধিরা। আর চাল, তেল চুরি করে তো সরকারের মান ইজ্জত তারা ডুবাচ্ছেনই।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন রকি বলেন, করোনাভাইরাসের লকডাউনে আমি নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ আছি। এখানে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলে গরীব অসহায় কৃষকদের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য কয়েক মিনিট ধান কেটে চলে যাচ্ছি না আমরা। নেতাকর্মীদেরকেও শো-অফ না করে কৃষকদের পাশে দাড়ানোর নির্দেশনা দিচ্ছি আমরা।
যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বলেন, কোন শো-অফ করার জন্য না, কৃষকদের কাজ করার জন্যই যুবলীগের নেতাকর্মীদের মাঠে নামছেন। অথচ অনেকেই ফেসবুকে ধানকাটার ছবি আপলোড দেয়ার জন্য মাঠে গিয়ে কৃষকদের কাজের আরো ক্ষতি করছেন।
কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ বলেন, কৃষকদের পাশে দাড়ানোর জন্য আমরা টিম করেছি। যেখানে কোন কৃষক প্রয়োজন বোধ করবেন সেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা গিয়ে ধান কেটে ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। দুই চার মিনিট ধান কেটে ছবি তুলে চলে আসবে না।