দেশে করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ৯২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে একটি ইংরেজি দৈনিক। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওই দিন থেকে গত ৯ মে পর্যন্ত দেশে ভাইরাসটিতে সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৯২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ। দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১২ মে) সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও) টিমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মধ্যে ২১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১৬৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১১০ জন খুলনা বিভাগের, ৮৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৮৪ জন বরিশাল বিভাগের, ৬৬ জন সিলেট বিভাগের এবং ৬৫ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ১৬ হাজারের বেশি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এটি আসল চিত্র না। টেস্টের ভিত্তিতে রোগীর এই সংখ্যা পাওয়া গেছে। প্রকৃতপক্ষে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। যদি টেস্টের পরিমাণ বাড়ানো হয়, রোগীর পরিমাণও বাড়বে।