যারা এ দেশের রাজনীতিতে রক্তাঘাত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে, তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা আরেক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে- দলটির মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান, ‘রাজনৈতিক কারণে কাকে, কোথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা বলুন?’
কাদের বলেন, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না।
সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজেদের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাহলে বিএনপি সমর্থিত কোনো অপরাধী গ্রেপ্তার হলে অভিযোগ কেন?
শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে। কোথাও রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যারা চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের চিহ্নিত অপহরণকারীর বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারিনি, তাদের মুখে এসব বুলি মানায় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে ঘটনার আগে কিছু বোঝা যায় না। চোখের পলকেই ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটেছিল। ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল কারা? কারা তখন ক্ষমতায় ছিল?
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপিই ছিল মাস্টারমাইন্ড, যারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে ঘোরানোর অপচেষ্টা করেছিল। তাদের মুখে হত্যার বিচার চাওয়া কি শোভা পায়?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে যারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল এবং যারা সংবিধানে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিল, তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা শোভা পায় না।
তিনি বলেন, করোনার এ সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এবং বাসা বাড়িতে অবস্থান করায় শিশু কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বাড়ছে। তাই সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।
পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে বলে জানান মন্ত্রী।