বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় এক রোগীর বোনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার সাতলা বাজার থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার এক গৃহবধূ (৪০) মুখে ও গলায় ঘা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিলেন। উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সাতলা গ্রামের স্থানীয় এক আত্মীয়ের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ১১ আগস্ট ওই গৃহবধূ তাঁর ছোট বোনকে (২৫) সঙ্গে নিয়ে মায়ের দোয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভর্তি হন। রোগীর সেবা দেওয়ার জন্য ছোট বোন তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে থেকে যান।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বড় বোনের সঙ্গে হাসপাতালে আসার পর থেকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক রেজাউল করিম তাঁকে মুঠোফোনে বিরক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই ব্যক্তি তাঁকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। ১৫ আগস্ট তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে হাসপাতালের কেবিনে ঘুমিয়েছিলেন। রাত দেড়টার দিকে রেজাউল করিম সেখানে এসে প্রথমে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং পরে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় তাঁর চিৎকারে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে উঠলে রেজাউল করিম সেখান থেকে চলে যান।
রোগীর বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ অস্বীকার করে ওই হাসপাতালের মালিক রেজাউল করিম বলেন, চিকিৎসা সেবা নেওয়ার পর পাওনা টাকা না দিতেই তাঁরা (রোগী ও তাঁর বোন) মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বলেন, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই রোগীর বোন রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়েছে।