ইরানের ধর্মতান্ত্রিক সরকারের কয়েক মাসের ভেতরেই পতন ঘটবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইরানের ক্ষমতাচ্যুত রাজতন্ত্রের উত্তরসূরি রেজা পাহলভী। কাজেই তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রেজা পাহলভী বলেন, গত নভেম্বরে ও ইউক্রেনীয় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চলতি মাসে যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে, তা তাকে ১৯৭৯ সালে তার বাবাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।— খবর এএফপির
তার মতে, চূড়ান্ত পরিণতিতে পৌঁছাতে একটু সময় লাগছে মাত্র। আমি মনে করি, আমরা সেই কার্যক্রমের মধ্যেই রয়েছি।
নির্বাসনে থাকা সাবেক এই যুবরাজ ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, চরম পতনের জন্য কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাস লাগতে পারে। ১৯৭৮ সালে বিপ্লবের আগে যেটা ঘটেছিল, বর্তমান পরিস্থিতি তার থেকে ভিন্ন কিছু না।
যদিও নির্বাসনে থাকা রাজনৈতিক কর্মীরা প্রায়ই ইরান সরকারের পতনের আভাস দিয়ে আসছেন। পাহলভিও বললেন, গত চল্লিশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সুযোগের গন্ধ পাচ্ছেন ইরানিরা।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ভয় কমে যাওয়া ও ইসলামপন্থী সরকারের স্বঘোষিত সংস্কারপন্থীদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন ময়ূর সিংহাসনের ৫৯ বছর বয়সী এই উত্তরসূরি।
কিশোর বয়স থেকেই ইরান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে রয়েছেন তিনি। হাডসন ইনস্টিটিউটে দেয়া বক্তৃতায় ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে ট্রাম্প সরকারের প্রচারে সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন এই সাবেক যুবরাজ।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এটা স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে যে ইরানের বর্তমান সরকার স্বাভাবিক না। নিজেদের ব্যবহার তারা পরিবর্তন করবে না। আমাদের দেশের লোকজন অনুভব করতে পেরেছেন যে এই সরকার সংস্কার আনবে না। কাজেই ক্ষমতা থেকে তাদের সরিয়ে দিতে হবে।
একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় ইরানিদের একটি বড় অংশের সমর্থন চাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন রেজা পাহলভি। তিনি ইরানি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে বললেন, এটা আমার বিষয় না, ইরানি জনগণের বিষয়।