শেখ মোঃ ফজলে করিম (খাকা) পেশায় একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ব্যবসা করে সমাজের বিত্তবান হলেও নেই কোন তার অহংকার। এলাকাবাসীর ছোট-বড়,নারী –পুরুষ সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন এলাকার উন্নয়নে। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত যুব সমাজ গড়তে নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই তার বাড়ীতে বসে মিলন মেলা সেখানে মুড়ি চানাচুরের আড্ডায় এলাকার শতশত মানুষ ভালো আর মন্দের গল্প শুনাতে ছুটে আসেন শেখ মোঃ ফজলে করিম (খাকা) ভাইয়ের কাছে। কারো মেয়ের বিয়ে নিয়ে,কারো আবার পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানের জায়গায় যেন একটিই প্রিয় খোকা ভাই। শেখ মোঃ ফজলে করিম(খাকা) নিজ প্রচেষ্টায় তিলতিল করে গড়ে তুলেছেন ঐতুব্য কেমিক্যাল ওর্য়াকস নামের একটি কসমেটিকস ব্যবসা প্রতিষ্টান। তার প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য মানুষের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি মিলপাড়া,চর মিলপাড়া,উত্তর মিলপাড়া সহ ১০ নং ওর্য়াডের উন্নয়নে তার ভূমিকা অপরিসীম। নিজ অর্থায়নে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন।
স্থানীয় যুবক রেজাউল করিম জানান, আমাদের এলাকা যখন মাদক সন্ত্রাসের অভয়াশ্রম তখন বিপদগামী যুবকদের পাশে এসে দাড়ান খোকা ভাই। তাদের সঠিক বুদ্ধি দিয়ে ফিরিয়ে আনেন আলোর পথে। তারা এখন সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। এদিকে পূর্ব মিলপাড়ার সোবাহান বলেন, আমি আমার মেয়েরে বিয়ে দিতে পারছিলাম না অর্থের সংকটে মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছিলো এমন সময় উদয় হলো খোকা ভাই। অর্থের যোগান দিলো আমার মেয়ের বিয়ে হলো সংসারে সুখ এলো আমার মেয়ের ঘরে। বড় বাজার এলাকার আসমা বেগম জানান, সুখে দুঃখে আমরা সব সময় তার সহযোগীতা পায়। তিনি আমাদের কাছে একজন দেবদূত। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।
আমলাপাড়ার মামুন নামের আরেক যুবক বলেন, আমাদের এলাকার গর্ব ও অহংকার এরকম একজন দানবীর পরোপকারী নিরহংকার মানুষের জন্ম হয়েছে। তার দিক নির্দেশনায় এলাকায় শান্তির সুবাতাশ বয়ে চলেছে।
শেখ মোঃ ফজলে করিম(খাকা) জানান, আমি একজন ব্যবসায়ী ব্যবসায় আমার ধ্যান-জ্ঞান। এর পাশাপাশি সমাজে আমার একটা নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সমাজে অনেক দুষ্ট লোকের মিথ্যাচারে অসহায় মানুষগুলো আজ সর্বোচ্চ হারিয়ে দিশেহারা । সমাজ অবক্ষয় রোধে আমি আমার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এই এলাকার উন্নয়রে আমি আমার অর্থ খরচ করে মসজিদ,মাদ্রাসা, ঈদগাহের অধিকাংশ কাজ করেছি, এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য খালের উপর সাঁকো নির্মাণ, সেই সাথে দরিদ্র মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি সেন্টারসহ যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছি। এটা আমার একটাই উদ্দেশ্য এলাকাবাসী ভালো থাকলে আমি ভালো থাকবো।
তিনি আরো বলেন কুষ্টিয়ার উন্নয়নের রুপকার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি অবহেলিত কুষ্টিয়া জেলাকে উন্নয়নের ছোয়া দিয়ে একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এবং তার ছোট ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা কুষ্টিয়ার উন্নয়নে অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি আর আমি ক্ষুদ্র একজন মানুষ হয়ে তাদের পাশে থেকে এই উন্নয়নে শরীক হতে পেরে ও সামাজিক কাজে অংশ গ্রহন করে নিজেকে গর্বীত মনে করি।
তিনি সম্প্রতী একটি পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এলাকাবাসীর উদ্দ্যেশ্যে বলেন,আপনাদের যে কোন সমস্যায় আমাকে স্মরণ করলে আমি আমার পক্ষ থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করব আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর। আমি আমার সবটুকু বিলিয়ে দিব কিন্ত কথা একটায় আমাদের এলাকায় কোন মাদক সন্ত্রাসের জন্ম দেয়া যাবেনা। জুয়ার আসর বসানো যাবেনা। সবার সহযোগীতায় শহরের শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে রুপান্তরিত করব। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, আলাউদ্দিন আলা, জিয়াউর রহমান জিয়া,কালু,আবদুল্লা,সবুজ মন্ডল,কোরবান,রেজাউল,রানা,মামুন শেখসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।