ক্যাসিনোকাণ্ডের পর তোড়জোড় করে কাউন্সিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হলেও দশমাসেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি যুবলীগের। তবে নেতারা বলছেন ক্যাসিনো কালিমা মুছে প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শে ফিরতে চায় যুবলীগ। আর সে উদ্দেশ্যেই পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতা খুঁজতে ব্যবহার করা হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে।
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির পর গেলো বছর ২৩ নভেম্বর জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে যুবলীগের শীর্ষ দুই পদে আসে পরিবর্তন। সংগঠনটির নতুন চেয়ারম্যান ও সম্পাদক দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও পরিচিত মুখ। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই দল সাজাতে কাজ করছেন তারা। কিন্তু দশমাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেননি তারা।
একই অবস্থা ঢাকা মহানগর কমিটির ক্ষেত্রেও। দীর্ঘ নয় বছরেও ঢাকা মহানগর পর্যায়ে কোনো সম্মেলন হয়নি যুবলীগের। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ। মহানগরকে ভারমুক্ত না করায় হতাশ নেতারা।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসবীরুল হক অনু বলেন, 'যদিও কমিটির মেয়াদ নয় বছর অতিক্রম হয়েছে। ২৩ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের যে কংগ্রেস সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু সেটা করোনার কারণে দেরী হবে। করোনা শেষ হওয়ার পরে আমরা আশা করতে পারি আমাদের সম্মেলন এর মাধ্যমে আমাদের মহানগরে নতুন কমিটি আসবে।'
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, 'আগামী দিনে যদি সম্মেলন এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় তাহলে সেই জায়গাটাতে এখন এর থেকে আরো ভালো যুবলীগ পরিচালিত হবে।'
ইতোমধ্যে, দল গোছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় নেতাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন শীর্ষ দুই নেতা। কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাতে কোন দুষ্কৃতকারী ও ক্যাসিনোবাজ না ঢোকে সেজন্য কাজ করছে গোপন টিম।
আওয়ামী যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, 'কোনক্রমেই ক্যাসিনোর সাথে সম্পৃক্ত, মদ, জুয়া এর সাথে সম্পৃক্ত, মাদকের সাথে সম্পৃক্ত কিংবা মানুষের উপর জুলুম করেন, নির্যাতন করেন এই শ্রেণির কোন যুবক যেন আমাদের যুবলীগের পতাকা তলে না আসতে পারে সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে।'
তবে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেনি যুবলীগ।