খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা কেজি দরে) চাল নির্বাচনের সময় ভোটারদের বিনা মূল্যে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলার পার-ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান মেম্বার হারুন অর রশীদ। মূলত আগামী ২৬ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পুনরায় জিততে তিনি এই চাল বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিতরণের চেয়ে গুরুতর বিষয় হত-দরিদ্রদের এই কর্মসূচির চাল ওই মেম্বার পেলেন কোথায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হারুন উর রশিদ বর্তমান মেম্বর ও এই নির্বাচনেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। নিজের অবস্থান শক্ত রাখতে তিনি ভোটারদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপহার দিয়ে আসছেন। এর অংশ হিসেবে শনি ও রোববার তিনি গ্রামের অন্তত অর্ধশত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি চালের একটি বস্তা দুইটি পরিবারের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন।
এ সময় চাল পৌঁছে দিয়ে টাকা না নিয়ে তিনি পরিবারগুলোর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। গ্রামে গিয়ে অন্তত পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে কথা বললে চাল দেয়ার কথা তারা স্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাল গ্রহীতারা বলেন, আমরা চাল নিতে চাইনি। তারপরেও বাড়িতে চাল রেখে গেছে মেম্বার।
তার বিপক্ষের প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এই বিষয়ে আপনাদের কিছু বলতে পারবো না।
তবে কীভাবে এই কর্মসূচির চাল মেম্বর সংগ্রহ করেছেন সেই বিষয়ে কিছু জানা নেই বলেছেন ওই কর্মসূচির ডিলার মোখলেসুর রহমান সাইদ। তিনি বলেন, অনেকেই এই চাল কিনলেও খায় না। মেম্বর তাদের কাছ থেকেও চাল সংগ্রহ করতে পারেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন, কিছু হতদরিদ্র পরিবার দেখে চাল দেয়া হয়েছে। ভোটের জন্য দেয়া হয়নি। কর্মসূচির চাল পেলেন কোত্থেকে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার রোকসানা নাসরিন বলেন, ভোটের আগে একজন প্রার্থী কোনোভাবেই মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে পারবেন না। বিষয়টি শুনানি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।