নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামে ছেলের লাঠির আঘাতে মাথা পাঠল পিতার। এ ঘটনায় মিথ্যা মামলায় জেল খাটলেন আঘাত প্রাপ্ত শহীদ আলীর ছোট ভাই আবুল কালাম আজাদ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ভোক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২১ সালের ৫ মে পিতা কালা মিয়া তার খড়ের গাদায় খড় তুলছিলেন। এসময় বড় ভাই শহীদ আলী তার বৃদ্ধ বাবাকে সেখানে কাজ করতে বাঁধা দেয়।
এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বড় ভাই শহীদ আলীর ছেলে পারভেজ চাচা আবুল কালাম আজাদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে গেলে আজাদ সরে যায়। এসময় পাভেজের লাঠির আঘাত লাগে বাবা শহীদ আলীর গায়ে। এতে শহীদ আলী আহত হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে বড় ভাই শহীদ আলী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে গত ২০২১ সালের ১৩ মে ছোট আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সুধারাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী রাশেদা বেগমকেও অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে ভুক্ত করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পিতা কালা মিয়া জানান, আমি মেজো ছেলে আবুল কালাম আজাদের ঘরে থাকি। তারা আমাকে ঠিকমতো খাওয়ায়, ওষুধ কিনে দেয়। ঘটনার দিন আমি নিজেই খড়ের গাদা সাজানোর জন্য আমার ছেলেকে সহযোগিতা করতে আসি। কিন্তু বড় ছেলে শহীদ আলী হিংসাত্বক মনোভাব নিয়ে আমাকে আজাদের কাজ করতে বাঁধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনায় শহীদ আলীর ছেলে আমার নাতি পারভেজ তার চাচা আজাদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে গেলে ওই আঘাত লাগে তার বাবা শহীদ আলীর গায়ে।
ভোক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে বাবা কিংবা বড় ভাইয়ের কাছে আশ্রয় পায়। কিন্তু আমার বড় হিংসাত্বকভাবে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। আমাকে হয়রানী করছে, এটা অমানবিক। এখনো বড় ভাই শহীদ আলী আমাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দিচ্ছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে মামলার বাদি শহীদ আলীর ছেলে পারভেজ বলেন, তার বাবা শহীদ আলী এ বিষয়ে কথা বলবেন না এবং তিনি ব্যস্ত আছেন কাজ কর্ম নিয়ে।