নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রাম থেকে মেরিনা আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ীকে আটক করলেও পালিয়েছে স্বামী মহি উদ্দিন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মেরিনা আক্তার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আকবর হোসেনের মেয়ে ও একই ওয়ার্ডের মহি উদ্দিনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫বছর আগে পারিবারিকভাবে মহি উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয় মেরিনা আক্তারের। সোমবার সকালে নিজেদের মধ্যে মোবাইলে রাখা নিয়ে মহি উদ্দিন ও মেরিনার মধ্যে বাকবির্তকের ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর মেরিনা চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গিয়ে অচেতন অবস্থায় মেরিনাকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেরিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পিতা আকবর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মেরিনাকে শারীরিক নির্যাতন করতো স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এসব নিয়ে একাধিকবার সামাজিকভাবে শালিসী বৈঠক হয়। সোমবার সকালে বাকবির্তকের জেরে মেরিনাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় মহি উদ্দিন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ীকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।