নোয়াখালীতে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লবের উদ্যোগে কৃষকের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিল যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
দিন ব্যাপী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লবের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা নোয়াখালীর সদর উপজেলার অর্শ্বদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষক মন্নানের ১০০ শতাংশ জমিতে এ ধান কেটে দেন। এতে কৃষক পরিবার খুব খুশী।
জানা গেছে, তীব্র গরম ও শ্রমিক সংকটে আবদুল মন্নানের খেতের পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। সামনে কালবৈশাখী ও অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এনিয়ে অধিকাংশ কৃষকের মাঝেই দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহবানে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম হামিদুল হক বকুলের ছেলে ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নোয়াখালীর সদর উপজেলার অর্শ্বদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষক আবদুল মন্নানের ১০০ শতাংশ জমিতে ধান কেটে দেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেই ধান বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ সময় ধান কাটা কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সুজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইউনুস হায়দার আবির, ইয়াছিন আরাফাত ফয়সাল, মোঃ দাউদ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুলক রায়সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
কৃষক আব্দুল মন্নান জানান, আমি বহু কষ্টে ১০০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করছি। বর্তমানে শ্রমিক সংকট ও শ্রমিক মূল্য বেশী হওয়ায় আর্থিক সংকটের ধান কেটে বাড়িতে আনা নিয়ে দুঃচিন্তায় ছিলাম। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব ভাইসহ নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেওয়ায় আমার উপকার হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এসব নেতাকর্মীদের জন্য আমি দোয়া করবো।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশে ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারন সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাইয়ের এ আহবানে অসহায় কৃষকদের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার এ কর্মসূচী পালন করি। আমাদের এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।