নোয়াখালী- ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, অনেকে আমাকে বলে আমি এই এলাকার লোক না। তাকে কেন ভোট দিব? কিন্তু সদর-সুবর্ণচরের মানুষ আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। আমি আমার সাধ্যমত ২০০৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করেছি। যার কারণে নোয়াখালী সদর - সুবর্ণচরের ৩ বারের এমপি আমি। আমার নেত্রীর সিদ্ধান্ত এবং আমাদের ঠিকানা জননেতা ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনায় আমি নির্বাচনে নেমেছি। প্রত্যেকটা জায়গায় আমি মতবিনিময় সভা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, দল যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে তোমরা এক সাহেদের (রাক্সা কবিরের ছেলে সাহেদ) জ্বালায় থাকতে পারবে না। এসব সাহেদদের কে দমাতে হলে তোমাদের একরাম চৌধুরিকে দরকার। এই একরামুল করিম চৌধুরী কোনো সান্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেয় না। আমার সাথে আমার আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ,যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগ আছে। ২০০৪ সালের আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাইজদী শহর উঠতে পারতো না। ৯৬ 'তে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন মাইজদী এবং সোনাপুরে দলের ছেলেরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করতো।কত রক্ত রাজপথে ঝরেছে। তখন কোথায় ছিলো আমাদের নেতারা ? আমি আসার পরে তা আর হতে দিই নাই।
এমপি একরামুল বলেন, অনেকে আমার কর্মী ছিলো,এখন নেতা হইছে। এখন আমাকে ডিঙাই এমপি হতে চায়। আরে... আগে কর্মীদেরকে ভালোবাসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। নৌকাকে ডিঙি বানাইয়েন না। নৌকা নৌকাই। নৌকার শক্ত মাঝি প্রয়োজন। গত ৩ বারের ছিলাম এবারো আছি।
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নে নৌকার সমর্থনে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রহিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শামসুদ্দিন জেহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সায়েদুল হক ছাদু মিয়া,জেলা পরিষদের সদস্য আরমান চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ- সভাপতি এডভোকেট গুলজার আহমেদ জুয়েল (পিপি), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আলতাফ হোসেনসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।